কড়া পুলিশি সুরক্ষায় রবিবার হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের ৫ সদস্য লখনউ যাচ্ছেন। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। শুনানির সময় পরিবারের বক্তব্য জানাতে তাঁদের আদালতে ডাকা হয়েছে।
লখনউ যাচ্ছেন নির্যাতিতার দুই ভাই, বাবা, মা এবং বৌদি। উত্তর প্রদেশ পুলিশের একটি দল তাঁদের কঠোর নিরাপত্তায় লখনউতে নিয়ে যাবে।
এই দলে রাজ্য পুলিশের ২ জন সিনিয়র অফিসার, একজন সিও এবং ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তাঁদের যথাযত নিরাপত্তা দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লখনউয়ের ডিআইজি শালভ মাথুর ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। কী ভাবে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে, তার প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন।নিরাপত্তা ব্যবস্থায যাতে কোনও খামতি না থাকে, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
১ অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তর প্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব অবনীশ অবস্তি, পুলিশের ডিজিপি হিতেশ চন্দ্র অবস্তি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার ছাড়াও হাতরসের ঘটনায জেলাশাসক প্রবীণ কুমার এবং পুলিস সুপার বিক্রান্ত বীরকে তলব করেছিলেন।
উত্তর প্রদেশে সরকারকে এই ক্ষেত্রে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যে সিবিআই এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের দল ওই গ্রামে যেতে পারে।
শনিবার সিবিআই বিষয়টি নিজের হাতে নিয়েছে।উত্তর প্রদেশ সরকারের সুপারিশের পর এই সিদ্ধান্তে শীলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দিন কয়েক আগে হাথরসে এক দলিত-কন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই তরুণীর, ২৯ সেপ্টেম্বর। এই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে তীব্র প্রতিবাদ জানান হয। তরুণীর মৃত্যুর পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিকেরা নির্যাততা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাধা দেওয়া হয বলে অভিয়োগ উঠেছিল। তরুণী থাকতেন হাথরসের বুলগারহি গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই।
উত্তর প্রদেশের যোগী–সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাথরস–কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে জানায়। খুব শিগিগিরি তদন্তকারী দল সেখান যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।