দিন দিন বাড়ছে গরম। IMD-র ক্রমাগত দেশের বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ তাপ সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করছে। বর্তমানে যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে তা হল চণ্ডীগড়, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার আবহাওয়া সংক্রান্ত। তাপমাত্রা ৪৩ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত যেতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, দিনের বেলায় প্রখর রোদে না বেরোতে। সুতির কাপড় ব্যবহার করতে। নিজেকে ঢেকে রাখতে। বারবার জল খেতে। কোনও সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। প্রতি বছর এরপরেও তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে।
২০১৫ সাল থেকে তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে তাপপ্রবাহে মোট ৪,০৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার ২ বছর সেই হার একেবারেই কম। তবে ২০১৫-তে ২ হাজার ছাড়িয়ে যায় তাপপ্রবাহে মৃত্যুর সংখ্যা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী
২০১৫- ২০৪০
২০১৬- ১১০২
২০১৭- ৩৭৫
২০১৮- ২৪
২০১৯- ২১৫
২০২০- ৪
২০২১- -
২০২২- ৩৩
২০২৩- ২৬৪
গরমের কারণে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা
সারাদেশে নির্বাচন চলছে। গরমের কারণে ভোটগ্রহণও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারও এ নিয়ে চিন্তিত। অন্যান্য দলও তাই। গত সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল উত্তর ভারতে।
তাপ বৃদ্ধির আসল কারণ কী?
ভারতে গ্রীষ্মকাল মাত্র তিন মাস থাকে। এপ্রিল, মে এবং জুন। এই মরসুমে ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রচণ্ড গরম থাকে। এর পর বর্ষা ঢুকলে তাপমাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু গত এক দশক থেকে গরম বাড়ছে। এর সঙ্গে শুরু হয় জল সংকটের প্রক্রিয়া।
দক্ষিণ এশিয়ার গড় পারদ ০.৮৫ ডিগ্রি বেশি
ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, ভারত সহ এশিয়ার কিছু অঞ্চল শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ৪৫ গুণ বেশি তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে। এ কারণে গত এক দশকে প্রাক-বর্ষায় দক্ষিণ এশিয়ায় তাপমাত্রা গড়ে ০.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
তাপপ্রবাহে মৃত্যুর ঘটনা এপ্রিলেই শুরু হয়
তাপপ্রবাহের কারণে এপ্রিল মাসে ভারতে ৫ জন এবং বাংলাদেশে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ড ও ফিলিপিন্স থেকেও মৃত্যুর খবর এসেছে। প্রচণ্ড গরম ভারতে জনসাধারণের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার অনুমান করেছে, গত শতাব্দীতে তাপপ্রবাহের কারণে দেশে প্রায় ১১ হাজার মানুষ মারা গেছে।