দিল্লিতে মাত্র ৯ দিনে মৃত্যু প্রাণ হারিয়েছেন ১৯২ জন। তাপপ্রবাহের কারণে এতজনের মৃত্যু হয়েছে। একটি NGO-র তরফে এই তথ্য সামনে এসেছে। যার জেরে চাঞ্চল্য রাজধানীতে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে তাপপ্রবাহে এত জনের মৃত্যু এর আগে হয়নি।
গরমের জেরে দিল্লিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ৭২ ঘণ্টায় ৫ জন মারা গিয়েছেন। প্রায় সবাই হিটস্ট্রোকের কারণে মারা যান। পৃথক ৩ হাসাপাতালে এঁদের মৃত্যু হয়। তবে ৯ দিনে যে ১৯২ জন মারা গিয়েছেন তাঁরা সবাই ঘরহীন ছিলেন।
নয়়ডাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে প্রায় সকলের হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
NGO-র সুনীল কুমার আলেদিয়া বলেছেন, ১১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লিতে ১৯২ জন গৃহহীন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু থেকে প্রমাণিত হয় যে, গৃহহীন মানুষদের অবস্থা কত শোচনীয়। তাপপ্রবাহে যারা মারা গিয়েছে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষই গৃহহীন। আলেদিয়া আরও বলুন, বায়ু দূষণ, দ্রুত শিল্পায়ন, নগরায়ণ এবং বন উজাড়ের মতো কারণগুলির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ঘরছাড়াদের অবস্থাকে আরও শোচনীয় করেছে।
আলেদিয়া জানান, সরকারের এমন একাধিক প্রকল্প আছে। তবে সেই সব প্রকল্প হয়তো মানুষের কাছে পৌঁছেচ্ছে না। সেই কারণে এই পরিণতি। সমাধানের পথও বলেন তিনি। জানান, ঘরছাড়া মানুষরা যাতে থাকতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়স্থল বানানো দরকার। এছাড়াও জল বিতরণের উপর জোর দেওয়া দরকার। তবেই আশ্রয়হীন মানুষদের
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রী জেপি নাড্ডা দিল্লির সমস্ত সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। হিটস্ট্রোকের চিকিৎসা করতে হাসপাতালগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা সেই নিয়েও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। দ্রুত হিটওয়েভ ইউনিট চালু করা হয় যেখানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ গোটা উত্তরভারজুড়ে। দিল্লিতে রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভেঙেছে গত ১২ বছরের রেকর্ড। ২০১২ সালের জুনে গড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই ছিল এযাবৎকালের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।