Advertisement

CRPC Amendment Bill: সংসদে ৩ বিল পেশ শাহের, গণপিটুনি ও নাবালিকা ধর্ষণের সাজায় বড় বদল

বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত লোকসভায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি সংস্কারের জন্য তিনটি বিল পেশ করেন। এই সময় শাহ বলেন, ১৮৬০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত, দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের তৈরি আইন অনুসারে কাজ করছে। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই তিনটি আইনই পরিবর্তন করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বড় বদল আসবে। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Aug 2023,
  • अपडेटेड 4:35 PM IST
  • কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত লোকসভায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি সংস্কারের জন্য তিনটি বিল পেশ করেন
  • ১৮৬০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত, দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের তৈরি আইন অনুসারে কাজ করছে
  • এই তিনটি আইনই পরিবর্তন করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বড় বদল আসবে

CRPC Amendment Bill: বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত লোকসভায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি সংস্কারের জন্য তিনটি বিল পেশ করেন। এই সময় শাহ বলেন, ১৮৬০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত, দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের তৈরি আইন অনুসারে কাজ করছে। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই তিনটি আইনই পরিবর্তন করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বড় বদল আসবে। 

শাহের এই বিলগুলি আইনে পরিণত হলে রাষ্ট্রদ্রোহের অবসান ঘটবে। এ ছাড়া গণ পিটুনি, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন এই আইন এলে কী পরিবর্তন হবে?

মব লিঞ্চিংয়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন
নতুন বিলে খুনের সংজ্ঞায় মব লিঞ্চিং যোগ করা হয়েছে। জাতি, বর্ণ বা সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অন্য কোনো কারণে ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একসঙ্গে খুন করলে, প্রত্যেক সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বা কারাদণ্ড হবে। এতে সর্বনিম্ন ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সীমা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানাও করা হবে।

নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড
অমিত শাহ বলেন, নতুন এই আইনে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ও সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায় অনেক কিছু রাখআ হয়েছে। গণধর্ষণের সব ক্ষেত্রেই ২০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও এতে রাখা হয়েছে।

ধর্ষণ আইনে একটি নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যার অর্থ বিরোধিতা না করার অর্থ সম্মতি নয়। এ ছাড়া মিথ্যে পরিচয় দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা অপরাধ যোগ্য হতে পারে।

সাজাপ্রাপ্তের অনুপস্থিতিতে বিচার ও শাস্তি
শাহ বলেন, "আমরা খুব ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসামীদের অনুপস্থিতিতেও বিচার হবে।" তিনি বলেন, দাউদ ইব্রাহিম এখন অনেক মামলায় নিখোঁজ, সে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এই অবস্থায় মামলাগুলির বিচার চলছে না। এবার দায়রা আদালতের বিচারকের নিয়ম অনুযায়ী যাকে পলাতক ঘোষণা করা হবে, তার অনুপস্থিতিতে বিচার হবে এবং সাজাও হবে।

Advertisement

বিদ্বেষমূলক বক্তব্যেও শাস্তির নিয়ম
নতুন আইনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যকেও অপরাধের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিলে সে ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের নিয়ম রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কোনও শ্রেণী বা অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

৫৩৩টি ধারা শেষ হবে- অমিত শাহ
২০২৭ সালের মধ্যে সমস্ত আদালত অনলাইন হবে। যে কোনও জায়গা থেকে জিরো এফআইআর নথিভুক্ত করা যেতে পারে। কেউ গ্রেপ্তার হলে সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে জানাতে হবে। ১৮০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে বিচারের জন্য পাঠাতে হবে।

শাহ আরও বলেছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে ৫৩৩টি ধারা শেষ করা হচ্ছে। ১৩৩টি নতুন বিভাগ যোগ করা হয়েছে। যদিও ধারা ৯ পরিবর্তন করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল, এসএমএস, অবস্থান প্রমাণ, ইমেল ইত্যাদি সবই আইনি বৈধতা থাকবে।

৭ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত মামলায় দিল্লির সর্বত্র FSL তদন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যৌন হিংসার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার জবানবন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কথা না শুনে কোনও মামলা ফেরত দেওয়া যাবে না। ৩ বছর পর্যন্ত শাস্তিযোগ্য মামলায় সামারি ট্রায়াল কার্যকর করা হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। চার্জ ফ্রেমের ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সিদ্ধান্তটি ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে উপলব্ধ করতে হবে।

- মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির যাবজ্জীবন পরিবর্তন করা যেতে পারে, তবে দোষী কোনওভাবেই মুক্তি পাবে না। আইনে সন্ত্রাসের ব্যাখ্যা যুক্ত করা হয়েছে।

- কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে ১২০ দিনের জন্য মামলা চালানোর অনুমতি দিতে হয়।

- আদালত পুলিশ কর্মকর্তার নয়, অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেবেন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement