সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কড়া বার্তা দিল আদালত। মামলাকারীর তরফে ফেসবুকের মালিকাধীন সংস্থার সাম্প্রতিক পলিসি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রশাসন যাতে এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সেই আবেদনও করা হয়।
এখনও এই বিষয়ে কোনও নোটিস জারি করেনি আদালত। তবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কেউ যদি মনে করে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে হোয়াটসঅ্যাপ, তাহলে অ্যাপটি ডিলিট করে দিতে পারে। যদিও চূড়ান্ত শুনানি কিছু হয়নি। ২৫ জানুয়ারি রায় দিতে পারে দিল্লি হাইকোর্ট, এমনটাই খবর।
মামলাকারীর তরফে বলা হয়েছে সরকার যেন কড়া পদক্ষেপ নেয় এই সংস্থার বিরুদ্ধে। কারণ এখানে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপ কীভাবে সাধারণ মানুষের তথ্য শেয়ার করতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারী। তবে চূড়ান্ত রায় না দিলেও আদালতের তরফে এও বলা হয়, ম্যাপ বা ব্রাউজার ব্যবহার করলেও যে তথ্য শেয়ার হয় সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে সরকারের কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ডাক দিয়েছেন মামলাকারী। তিনি জানান যে ইউরোপের বিভিন দেশে হোয়াটসঅ্যাপ পলিসি ভিন্ন। সেখানে এই ধরণের কোনও কাজ করতে পারে না সংস্থাটি। কিন্তু ভারতে কোনও কঠোর আইন না থাকায় এমন পলিসি এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার হয়ে লড়াই করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেছেন এই মামলা অবিলম্বে বাতিল করে দেওয়া উচিত কারণ পলিসির অভিযোগ ভিত্তিহীন।