যদি দুইজন পুরুষ বা দুইজন নারী একে অপরকে ভালোবাসেন এবং বিয়ে করতে চান, তাহলে তাঁদের তা করার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকা উচিত। সমকামী বিয়ের অধিকার নিয়ে এমনই মত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের।
মঙ্গলবার সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি আইনসভার আওতাধীন, জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে এর পাশাপাশি সমকামীদের সামাজিক বৈষম্য রোধের বিষয়েও জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। বিচারপতিরা সকলে এই বিষয়ে সম্মত হয়েছেন যে, সমকামী দম্পতিদের বিয়ে করার মৌলিক অধিকার নেই। শুধু তাই নয়, বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে বলেছে, সমকামী বিবাহের বিষয়ে আইনসভার (সংসদ) সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
তসলিমা নাসরিন bangla.aajtak.in-কে জানান, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিয়েতে, বিশ্বাস করি না। তবে যে বিয়ে করতে চায় তার বিয়ে করার অধিকার থাকা উচিত। যদি দুইজন পুরুষ বা দুজন নারী একে অপরকে ভালোবাসেন এবং বিয়ে করতে চান, তাঁদের তা করার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকা উচিত। সভ্য জগত মানবাধিকারে গুরুত্ব দেয়। সমকামী বিবাহ মানবাধিকারের অংশ।"
তসলিমা নাসরিনের এই বক্তব্য সমকামী বিয়ের মৌলিক মানবাধিকারের দিকটিই তুলে ধরছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, বিষয়টি আইনসভার আওতাধীন। ভারতে সমকামীদের সমানাধিকার নিয়ে একাধিক দাবি রয়েছে। সমকামীদের অধিকার পরীক্ষার জন্য কমিটি গঠন সেই দাবি পূরণে আরও এক এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু বিয়ের আইনি স্বীকৃতির লক্ষ্য অর্জন করতে LGBTQ কমিউনিটিকে এখনও অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সমকামীদের বিয়েকে হয় তো স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সমকামীদের সামাজিক অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে। বরং কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির উদ্দেশে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাতে আগামিদিনে সমকামী যুগলদের প্রতি বৈষম্যের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সকলের মতো সমানাধিকার এবং ব্যবহার পাবেন তাঁরা। এই বিষয়ে কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ কী হবে? জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।