গত কয়েক দিন আগেও তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফের ফিরছে গরম। এই পরিস্থিতিতে ভরসা এখন বর্ষা। জুন মাসেই বর্ষার আসার সময়। এই আবহে সুখবর শোনাল মৌসম ভবন। এ বছর স্বাভাবিক সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকছে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ মে-র মধ্যেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকবে। ওই অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢোকার স্বাভাবিক সময় ২২ মে। অর্থাৎ, ৩ দিন আগেই পা রাখছে বর্ষা।
অন্য দিকে, দেশের মধ্যে কেরলে সবার আগে বর্ষা ঢোকে। দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। এবার কেরলে জুনের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষা ঢুকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে বর্ষা আসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। বাংলায় বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ৬-৭ জুন। এ রাজ্যে উত্তরবঙ্গে প্রথমে বর্ষা ঢোকে। তবে বাংলায় এবার ঠিক কোন তারিখে বর্ষা আসবে, তা এখনও জানানো হয়নি।
এ বছর দেশে বর্ষার বৃষ্টি স্বাভাবিকের থেকে বেশি হতে পারে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষার স্বাভাবিক সময়। গত বছর দেশে বর্ষার বৃষ্টি হয়েছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। যার জেরে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এ বছর তীব্র দহনে পুড়েছে কয়েকটি রাজ্য। ফলে বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে অনেকটাই স্বস্তি ফিরবে। কৃষকদের জন্যও স্বস্তিদায়ক হবে।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে ফের ভ্যাপসা গরম পড়েছে। আজ বিকেলের পর কোনও কোনও জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তবে আবার ফিরছে শুষ্ক গরম। সেই সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। ফলে আবার বজায় থাকবে অস্বস্তিকর গরম। তবে এখনও পর্যন্ত নতুন করে তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা নেই।
মে মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে রেমাল। তবে আদৌ ঝড়টি তৈরি হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার গতিপত কোন দিকে হবে, তা এখনও জানা যায়নি। গত কয়েক বছরে বঙ্গোপসাগরে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। এ বছর নতুন করে সাইক্লোন তৈরি হলে বিপদ বাড়তে পারে।