অবিরাম বৃষ্টি এবং ভূমিধসে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১ জনে। বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার এবং মৃতদেহ বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া দফতর আগামী কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
বুধবার বৃষ্টি-বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ এ দাঁড়িয়েছে এবং আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন দিনে অন্তত ৭১ জন মারা গিয়েছেন এবং ১৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার রাত থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার থেকে পাহাড়ি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সিমলা-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভূমিধস হয়েছে। ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মোট ২১৪ জন মারা গিয়েছেন। ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কাংড়া জেলার ইন্দোরা ও ফতেহপুর মহকুমার বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ১,৭৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযানে সাহায্য করছে এয়ারফোর্স, আর্মি এবং এনডিআরএফ।
উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ১০
উত্তরাখণ্ডের লছমন ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভেঙে পড়ে রিসর্টটি। এই চারটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। পাউরি-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। পিপলকোটি ভরেনপানির কাছে ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একটি অংশ ভেসে গেছে।
পাঞ্জাবে আকস্মিক বন্যা
পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে হোশিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে পাঞ্জাব নতুন করে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।