বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পেছনে ভারতের অনেক অবদান রয়েছে। আজকের দিনটি তাই হাসিনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে চেয়েছিলাম মোদীকে বাংলাদেশে আহ্বান জানাতে কিন্ত করোনা পরিস্থিতর কারণে তা সম্ভব হয়নি, বলেই মন্তব্য হাসিনার।
প্রায় ৫৫ বছর পর চালু হয় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ। এছাড়াও পেট্রাপোল (ভারত)- বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত)- দর্শনা (বাংলাদেশ), সিংহবাদ (ভারত)- রোহনপুর (বাংলাদেশ) এবং রাধিকাপুর (ভারত)- বিরল (বাংলাদেশ) এই চারটি সংযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
পরিবহণ ও সংযোগের বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ১৯৬৫-র আগে ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে ৬টি যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল, যাতে সেগুলি আবার চালু করা যায়। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ শুরু করে ৬টির মধ্যে ৫টি ইতিমধ্যেই চালু করা গিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন যে দুই দেশই বিজয় দিবস উদযাপন করছে। এই সময়ে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একাত্তরের যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান। শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময়কালে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও শক্ত হয়েছে। ভারত আগামী দিনে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে একথাও শোনা গেল বঙ্গবন্ধু-কন্যার গলায়।
করোনা আবহে দুই দেশই একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখেছে একথাও জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। আগামী দিনে করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও এই মিত্রতা বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মোদী-হাসিনার ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের বিজয় দিবসের পর আমাদের এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে মশাল বহন করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও গভীর করা ভারতের অগ্রাধিকার একথাও জানান তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। করোনার আবহেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন মোদী- হাসিনা। এ বছর মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ভিডিও বার্তাও দিয়েছিলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার দিকে নজর থাকবে সবার।