বুধবার বিরোধী দলগুলির ইন্ডিয়া ব্লকের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছে দিল্লিতে। আজকের বৈঠকে হাজির থাকবেন না তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কারণ আজ তাঁকে ইডি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছে। ইন্ডিয়া ব্লকের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যৌথ প্রার্থী দাঁড় করানো, দ্রুত আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সভাপতি শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বিরোধীদের ১৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদিও কোনও ফর্মুলাতে আসন ভাগাভাগি হবে, তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। সাম্প্রতিক নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট আসনে দলগুলির পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি হতে পারে।
বুধবারের বৈঠকে চূড়ান্ত না হলেও আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সুরাহা হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা নির্বাচনী প্রচারের একটি বিস্তৃত কৌশলও তৈরি করবেন। মঙ্গলবার, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের আগে শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মুম্বইতে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তাঁদের বৈঠক প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলে। পরে শিবসেনা নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেছেন যে ইন্ডিয়া ব্লকের সমন্বয় কমিটির বৈঠক এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাতিল জানিয়েছেন যে উত্তরপ্রদেশের পরে মহারাষ্ট্র থেকেই সবচেয়ে বেশি সাংসদ লোকসভাতে যান।
বিরোধীদের ইন্ডিয়া ব্লকের সমন্বয় কাম নির্বাচনী কৌশল কমিটিতে ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা হলেন কেসি ভেনুগোপাল (কংগ্রেস), টিআর বালু (ডিএমকে), হেমন্ত সোরেন (জেএমএম), সঞ্জয় রাউত (শিবসেনা-ইউবিটি), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), রাঘব চাড্ডা (আপ), জাভেদ আলি খান (এসপি), লালন সিং (জেডি-ইউ), ডি রাজা (সিপিআই), ওমর আবদুল্লা (ন্যাশনাল কনফারেন্স), মেহবুবা মুফতি (পিডিপি), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (টিএমসি), এবং সিপিআই-এর একজন সদস্য।
সিপিআই-এম এখনও কমিটিতে কোনও সদস্য মনোনীত করেনি এবং মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকবে। পার্টি সূত্র জানিয়েছে যে সিপিআই-এম কে প্রতিনিধিত্ব করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পলিট ব্যুরো মিটিংয়ে। জুন মাসে পাটনায় বিরোধী ব্লকের প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে প্রতিটি আসন থেকে শক্তিশালী প্রার্থীকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য বাছাই করা হবে। বিরোধী নেতাদের মতে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে আসন ভাগভাগি সহজ হলেও দিল্লি, পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্যান্য রাজ্যগুলিতে আসন ভাগাভাগি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।