দেশীয়ভাবে তৈরি অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ফ্লাইটের সফল পরীক্ চালাল ভারত। এই মিশনের নাম দিব্যাস্ত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'মিশন দিব্যাস্ত্রের জন্য আমাদের DRDO বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত, মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (MIRV) প্রযুক্তি সহ দেশীয়ভাবে তৈরি অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ফ্লাইট পরীক্ষা।'
আজকের পরীক্ষা যে কারণে অনন্য সেটা হল এতে মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) প্রযুক্তি রয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে ওয়ারহেড একটি সুনির্দিষ্ট এবং লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ করতে একাধিক পুনঃপ্রবেশকারী যানে বিভক্ত হতে পারে।
২০২২ সালেও ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটি ৫৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে। এই মিসাইলটি ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল) যৌথভাবে তৈরি করেছে। বিষয়টি তার রেঞ্জ কত তা নয়, চিন এবং অনেক দেশ আশঙ্কা করছে যে তাদের পুরো এলাকা এই ক্ষেপণাস্ত্রের রাডারে চলে আসছে। বিজ্ঞানী এম নটরাজন ২০০৭ সালে প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিকল্পনা করেছিলেন। মোবাইল লঞ্চার ব্যবহার করা হয় অগ্নি-৫ মিসাইল (অগ্নি-ভি) উৎক্ষেপণের জন্য। এটি একটি ট্রাকে লোড করা যেতে পারে এবং যে কোনও জায়গায় পরিবহন করা যেতে পারে।
অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের (অগ্নি-ভি আইসিবিএম) প্রথম সফল পরীক্ষা ২০১২ সালের১৯ এপ্রিল করা হয়েছিল। এর পরে, ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩ জুন এবং ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সফল পরীক্ষা করা হয়। অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সাতটি সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এসব পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন প্যারামিটারে পরীক্ষা করা হয়। যেটিতে প্রকাশ করা হয়েছিল যে এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুকে ধ্বংস করার একটি দুর্দান্ত অস্ত্র।