বাবুল সুপ্রিয় বললেন, আমার কোনও আক্ষেপ নেই সঙ্গীত জগত্ থেকে রাজনীতিতে এসে। আমি গাড়িতেই মাঝে মাঝে গান গাই। রেয়াজ করি। মিউজিক আমায় চার্জড করে। নিজেকে চার্জ দিই গান গেয়ে।মুম্বইয়ে ভাল ভাল গায়ক আছেন। অরিজিত্ সিং খুব ভাল গান গান।
অমিত শাহ বলেছেন, উপড়ে ফেলে দেব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। আমরা এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে উপড়ে ফেলতেই এসেছি। উপড়ে ফেলব। আমি কয়েকদিন আগে দেখলাম, আলিপুর জেলেও নীল-সাদা রং।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামো ভাঙার অভিযোগ তুলে বাবুল বললেন, কেন্দ্রের সরকারে থাকা দল রাজনৈতিক বিপক্ষ হতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক শত্রু হবে কেন। এটা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন। প্রতিটি নির্বাচনে আমার গাড়ি ভাঙা হয়। হিংসা চলছে গোটা রাজ্যে।
গত ৬ বছরে আসানসোলের একটি তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে আমি কাজ নিয়ে মিটিং করতে পারিনি। এঁরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে থাকেন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করা যায় না।
বহিরাগত ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বাবুল সুপ্রিয় বললেন, বাংলায় বহু শিল্পপতি অবাঙালি। তাঁরা বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে বাংলায়। বহিরাগত বলে দিদি ওই বিরাট সংখ্যার শিল্পপতিদেরও অপমান করছেন।
বিজেপি একটি জাতীয় দল। তাই বিভিন্ন রাজ্য থেকে নেতারা আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল তো আঞ্চলিক দল। আসলে এই বহিরাগত বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দীনেশ ত্রিবেদীকে বিজেপি-তে স্বাগত জানালেন। দীনেশ ত্রিবেদীর ভুয়োসী প্রশংসা করলেন বাবুল। বাবুলও একই ভাবে প্রশংসা করলেন দীনেশের। আপনি দলে আসুন, একুশের নির্বাচন জিতব।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, অনেক হয়েছে। এবার ঝগড়া বন্ধ করে মানুষের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত। এটাই ভাল সময় কেন্দ্র ও রাজ্যের একসঙ্গে কাজ করার।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক করা যায়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা যায়। কিন্তু তৃণমূলে এখন আর সেটা করা যায় না। সেখানে নিজের মতামত রাখা যায় না। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার মধ্যে ত কিছু ভুলের নেই।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, কোনও পদে না থেকেও মানুষের কাজ করা যায়। নরেন্দ্র মোদী আমার ১৯৯০ সাল থেকে বন্ধু। তিনি এখনও আমার বন্ধু। বিজেপির দরজা আমার জন্য সব সময়ই খোলা। অমিত শাহের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক আমার।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, আমি যা সংসদে বলেছি, মন থেকে বলেছি। অনেক দুঃখ থেকে বলেছি। আমি প্রতিটি তৃণমূলনেতাকে মেসেজ করেছিলাম, দলে যা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলেছিলাম, যথেষ্ট হয়েছে। আমি আর এসব সহ্য করতে পারছি না। তৃণমূলে থাকা আমার উপর বোঝা ছিল। আজ বোঝা নামল। দয়া করে হিংসা কমান। হিংসা বেড়েই চলেছে রাজ্যে।
নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা দীনেশ ত্রিবেদীর, বললেন, দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আর নেই। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একার হাতে দল চালাতেন, তখন ভাল ছিল। যখন থেকে কর্পোরেট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, দলে একগুচ্ছ ইনসিকিউরড লোকে ভরে গিয়েছে। সারাক্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান ভাঙাচ্ছে। আমি আর এসব নিতে পারছিলাম না। আমি দল ছাড়তে বাধ্য হলাম।
আমি আর মুকুল রায় ছিলাম তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির সময়। টিএমসি ক্ষমতায় আসার আগে যে কথাগুলি বলত, ক্ষমতায় আসার পরে সব ভুলে গেল। বাংলার উন্নয়ন ভুলে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যখন দল চালিয়েছেন, কোনও কর্পোরেট সংস্থা নয়, তখন দল ভাল ছিল।
দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, জেপি নাড্ডার গাড়িতে যখন হামলা হয়েছিল, তখনও আমি নিন্দা করেছিলাম। আমি হিংসার নিন্দা করেছিলাম। বাঙালি শান্তিপ্রিয় জাতি। আমি এই দিনের পর দিন বেড়ে চলা হিংসা আর সহ্য করতে পারছিলাম না।
তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসেবে দীনেশ ত্রিবেদী বললেন, আমি যা করি মন থেকে করি। আজ রাজ্যসভায় যা করেছি মন থেকে করেছি। আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না রাজ্যের হিংসা। দুর্নীতি আর সহ্য হচ্ছিল না।
একুশের নির্বাচন নিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বললেন, আমি ছোট থেকে শিখেছি, নিজের কাজ মন দিয়ে করো। আমি রাজনীতিবিদ নই। তাই বলতে পারবো না, ভোটে কী অ্যাজেন্ডা হওয়া উচিত।
আরপি গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানালেন, খুবই ভাল বাজেট। প্রতি বাজেটেই আমাদের মনে হয়, দিল মাঙ্গে মোর। কিন্তু এবারের বাজেট এতটাই ভাল যে, এবার আমাদের ঠিক মতো পারফর্ম করতে হবে ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
আমাদের দলে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে আছেন। যে কেউ হবেন। সিপিএম-কংগ্রেস জোট নিয়ে বলব, আমাদের রাজনীতি ৫১ শতাংশ ভোটের জন্য। বাকি ৪৯ শতাংশ ভোটে কে কত ভোট পেল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকি প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বললেন, আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে ওয়েইসি, সিদ্দিকি সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে পারেন। তা হলেও জিতব।