Advertisement

Bus-Truck Drivers Strike: হিট অ্যান্ড রান আইনের বিরুদ্ধে বাংলা-সহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ, ধর্মঘটে ট্রাক-বাস চালকরা

হিট এন্ড রান কেসের ক্ষেত্রে নতুন আইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটে নেমেছেন ট্রাক ড্রাইভাররা। বছরের শুরুতেই সারা দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডেকেছেন ট্রাক চালকরা। গোটা দেশ জুড়ে তিনদিনের ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা। উদ্দেশ্য, নয়া প্রবর্তিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বর্ণিত ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন, অর্থাৎ, ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আইনের প্রতিবাদ জানানো।

Bus-Truck Drivers Strike
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Jan 2024,
  • अपडेटेड 11:45 AM IST


হিট এন্ড রান কেসের ক্ষেত্রে নতুন আইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটে নেমেছেন ট্রাক ড্রাইভাররা। বছরের শুরুতেই সারা দেশ জুড়ে  ধর্মঘট ডেকেছেন ট্রাক চালকরা। গোটা দেশ জুড়ে তিনদিনের ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা। উদ্দেশ্য, নয়া প্রবর্তিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বর্ণিত ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন, অর্থাৎ, ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আইনের প্রতিবাদ জানানো।

 সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ভারতীয় দণ্ডবিধিকে প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে পাশ হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহীতা। বিক্ষুব্ধ ট্রাকচালকদের দাবি, নয়া ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনটি অত্যন্ত কঠোর এবং এতে বিশেষ করে ট্রাকের মতো বড় গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, নয়া আইনে অলিখিতভাবে বড় গাড়ির উপর দোষ চাপানোর ইঙ্গিত আছে। এই বিরোধিতায় বর্ষশেষের দিন বাংলার ডানকুনিতে যে অবরোধ-আন্দোলন শুরু করেছিলেন ট্রাক ড্রাইভাররা, নতুন বছরের প্রথম দিন সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে। মঙ্গলবারও পরিস্থিতি রয়েছে একইরকম।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে রবিবার প্রায় দুই ঘন্টা ধরে হিট-এন্ড-রান মামলার জন্য নতুন শাস্তিমূলক আইনের প্রতিবাদে শত শত ট্রাক এবং বাণিজ্যিক যানবাহন চালকরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে। ছত্তিশগড়ের অনেক জায়গায় যাত্রীবাহী বাস চালকরা 'হিট-এন্ড-রান' মামলা সম্পর্কিত নতুন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, যা যাত্রীদের অসুবিধার কারণ হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সোলাপুর, কোলহাপুর, নাগপুর ও গোন্দিয়া জেলাতেও 'রাস্তা রোকো' বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে, নভি মুম্বই এবং অন্যান্য জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নাসিক জেলায়, ট্যাঙ্কার চালকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং পানেওয়াদি গ্রামে এক হাজারেরও বেশি ট্যাঙ্কার পার্ক করা হয়েছে। পানওয়াদি গ্রামটি একটি জ্বালানি ডিপো, যেখানে এই ট্যাঙ্কারগুলি পার্ক করা হয়েছিল৷

Advertisement

গুজরাতেও, বিক্ষোভকারীরা নতুন আইনের প্রতিবাদে খেদা, ভালসাদ, গির সোমনাথ, ভরুচ এবং মেহসানা জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া মহাসড়কগুলি অবরোধ করে। মেহসানার মেহসানা-আম্বাজি হাইওয়ে এবং খেদার আহমেদাবাদ-ইন্দোর হাইওয়ে কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ করা হয়, কারণ বিক্ষোভকারীরা প্রধান রুটে টায়ার জ্বালিয়েছিল। বিক্ষুব্ধ ট্রাক চালকরা সড়কে টায়ার ও ময়লা-আবর্জনা জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। হরিয়ানার জিন্দ এবং উত্তরপ্রদেশের মিরাটে, ট্রাক চালকদের 'হিট অ্যান্ড রান' কেস নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং সোমবার  প্রাইভেট বাস এবং ট্রাক চালকরা তিন দিনের ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। বিক্ষোভ চলাকালে তিন শতাধিক ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়।

উত্তরপ্রদেশের আগ্রা ও মেরঠে নববর্ষের প্রথম দিনে  বাস ও ট্রাক চালকরা নতুন আইনে চালকদের শাস্তি ও জরিমানার বিধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। আইএসবিটি, ইদগাহ এবং বিজলী ঘর বাস স্ট্যান্ডে চালকরা রোডওয়েজ বাস পার্ক করে। তাদের দাবি সরকারের উচিত আইন সংশোধন করা। বাস চালকদের পাশাপাশি ট্যাক্সি চালকরাও মিরাটে ধর্মঘটে যোগ দেন। এতে মানুষের সমস্যা হয়েছে। অটো চলাচলকারী অনেক জায়গায় যাত্রীদের ভিড় জড়ো হতে দেখা গেছে। উত্তরপ্রদেশের মিরাটে বাস চালকদের ধর্মঘটের কারণে নতুন বছরের প্রথম দিনে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্য যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে মানুষকে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement