ভারতীয় সেনাবাহিনী তার যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাইবার, আইটি, ভাষাবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডোমেনে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাকেশ কাপুর এই উদ্যোগের ঘোষণা করে জানান, এটি সামরিক বাহিনীর কাঠামো পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক সামরিক অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গৃহীত।
আধুনিক যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাপুর জানান, সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী সংঘাতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেনাবাহিনী তার কৌশল এবং অপারেশনাল পদ্ধতি আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে তথ্য যুদ্ধ, সাইবার নিরাপত্তা, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ডোমেনের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষ নিয়োগ: পাইলট প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন
বিশেষজ্ঞ নিয়োগের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে, ভাষাবিদদের জন্য পাঁচটি বিশেষ এন্ট্রি সহ মোট ১৭টি নতুন পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য:
অফিসার পদে স্নাতকোত্তর এবং সৈনিক পর্যায়ে স্নাতক প্রার্থীদের সুযোগ।
বাছাই প্রক্রিয়ায় থাকবে সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড (SSB) সাক্ষাৎকার।
লিঙ্গ সমতা বজায় রেখে পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রযুক্তি-নির্ভর সেনাবাহিনী গঠনের লক্ষ্য
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৪-২৫ সালকে সেনাবাহিনীর জন্য "প্রযুক্তি শোষণের বছর" হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রযুক্তির ভূমিকা তুলে ধরে সেনাবাহিনী ১৬টি প্রযুক্তি ক্লাস্টারে কাজ করছে। এসব ক্লাস্টারে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে:
সাইবার নিরাপত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
৫জি/৬জি নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ৩ডি প্রিন্টিং।
ভবিষ্যতের যুদ্ধ এবং উদ্ভাবনের নেতৃত্ব
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাপুর বলেন, "প্রযুক্তি এবং সামরিক কৌশলের সম্পর্ক সিম্বিওটিক।" তিনি যোগ করেন, এই উদ্যোগ সেনাবাহিনীকে একটি বিশেষ, প্রযুক্তি-চালিত বাহিনীতে রূপান্তরিত করবে, যা ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।