একাধিক নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি বিভিন্ন এয়ারলাইন, যারমধ্যে রয়েছে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা। মঙ্গলবার ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ১০টি ফ্লাইট নতুন নিরাপত্তা হুমকি পেয়েছে, যার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ছিল। জেড্ডা, ইস্তাম্বুল এবং রিয়াদের মতো গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যগুলিতে এসব হুমকি মিলেছে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ইন্ডিগো অবিলম্বে তাদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে।
সোমবার রাত থেকে টানা হুমকি
জানানো হয়েছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৩০টি ফ্লাইট হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি এয়ার ইন্ডিয়া, ১০টি ইন্ডিগো এবং ১০টি ভিস্তারা ফ্লাইট রয়েছে।
এদের মধ্যে একটি ইন্ডিগো ফ্লাইট, ম্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বই যাচ্ছিল (ফ্লাইট ৬ই ১৬৪), যা একটি নিরাপত্তা সতর্কতা পায়। যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয় এবং বিমানটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে আহমেদাবাদ থেকে জেদ্দা গামী ফ্লাইট ৬ই ৭৫-এর যাত্রীদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ফ্লাইটটিকে আলাদা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কিছু ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন
হুমকির কারণে আরও কয়েকটি ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। যেমন লখনউ থেকে পুনে গামী ফ্লাইট ৬ই ১১৮, হায়দ্রাবাদ থেকে জেড্ডা ৬ই ৬৭, ইস্তাম্বুল থেকে মুম্বাই ৬ই ১৮, দিল্লি থেকে দামাম ৬ই ৮৩ ইত্যাদি। এছাড়া কিছু ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে, যেমন বেঙ্গালুরু থেকে জেদ্দা যাওয়া ফ্লাইট ৬ই ৭৭ দোহাতে, কোঝিকোড থেকে জেড্ডা ফ্লাইট ৬ই ৬৫ রিয়াদে এবং দিল্লি থেকে জেদ্দা ফ্লাইট ৬ই ৬৩ মদিনায় ডাইভার্ট করা হয়েছে।
এই সমস্ত ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এয়ারলাইন্সগুলি কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। ইন্ডিগো এয়ারলাইন যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যাত্রী নিরাপত্তাকেই তাঁদের প্রথম অগ্রাধিকার হিসাবে উল্লেখ করেছে।
এই হুমকি কলের ঘটনার পরই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু ঘোষণা করেন যে মিথ্যা বোমা হুমকি দেওয়া অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য, গত শনিবারেও (১৯ অক্টোবর) ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল।
এই ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির মুখে সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS) ১৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এয়ারলাইন্সের সিইও এবং প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজন করে, যেখানে এই ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের ব্যাপারে আলোচনা হয়।