নেশার ঘোরে বিমানের গেট খোলার বায়না জুড়লেন এক যাত্রী। রীতিমতো এমার্জেন্সি গেট ধরে টানাটানিও শুরু করে দেন। যদিও বিমানসেবিকাদের তৎপরতায় কোনওমতে তাঁকে আটকানো হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ইন্দোর থেকে হায়দরাবাদগামী ইন্ডিগো ফ্লাইটের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৯ বছর বয়সী ওই যাত্রী ফ্লাইটে ওঠার আগে 'ভাঙ' খেয়েছিলেন। আর তারপরেই একেবারে নেশার 'মুডে' চলে যান। বিমানে উঠেই বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন। আর তারপর দরজা খোলার চেষ্টা করেন। গত ২১ মে এই ঘটনা ঘটে।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন এই নিয়ে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংস্থা জানিয়েছে, '২১ মে, ২০২৪-এ, ইন্দোর থেকে হায়দরাবাদের ফ্লাইট নম্বর 6E 511-এর একজন যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় ল্যান্ডিংয়ের সময় এমার্জেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করেছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুসারে, যাত্রীকে ক্রু ভ্রমণের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে। বিমান অবতরণের পরে তাঁকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উড়ানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা হয়নি। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
সূত্রের খবর, ফ্লাইটটি যখন ইন্দোর থেকে টেক অফ করে, তখনই ক্রুরা ওই যাত্রীর অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন। এরপর তাঁকে আলাদা একটি সিটে বসানো হয়। কিছুক্ষণ পর, তিনি তাঁর দুই বন্ধুর কাছে বসার জন্য জোরজার শুরু করেন। এই দুই বন্ধুর সঙ্গেই তিনি তীর্থযাত্রায় ইন্দোরে গিয়েছিলেন। ক্রুরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি এক যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুপারভাইজার কে. বলরাজুর মতে, 'সতর্ক করা সত্ত্বেও বিমান ওড়ার সময় ওই যাত্রী কোনও কারণ ছাড়াই আইলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পাইলট যখন ফ্লাইট অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তিনি জরুরি গেট খুলতে এগিয়ে যান।'
যাত্রীর অদ্ভুত আচরণ লক্ষ্য করার পর, এয়ারলাইন স্টাফ এবং কিছু সহযাত্রী তাঁকে দরজা খুলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত অনিল পাটিল, চন্দ্রগিরিনগর, গাজুলারামরামের বাসিন্দা। তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে গিয়েছিলেন। পাতিল 'স্বাস্থ্য সমস্যায়' ভুগছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার RGI বিমানবন্দর থানার একজন পুলিশ কর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।