বাংলাদেশে (Bangladesh) লাগাতার আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা (Attack On Minorities In Bangladesh)। ভাঙচুর চালানো হয়েছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ও মন্দিরে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরেও করা হয়েছে অগ্নিসংযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একাধিক জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আহতও হয়েছেন বেশকয়েকজন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের মধ্যে।
এবার প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে কি অনুপ্রবেশ বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের ঘটনা বাড়বে? এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক বিএসএফ (BSF) কর্তা জানাচ্ছেন, 'মানুষ মরতে নয় বেঁচে থাকতে চান। তাই বেঁচে থাকার জন্য ওখান থেকে এখানে আসার একটা প্রবণতা থাকবে। এটা বিশেষত তাঁদের ক্ষেত্রে হবে, যাঁদের এপারে কোনও আত্মীয় পরিজন রয়েছেন। কারণ তাঁদের প্রাথমিকভাবে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।' তিনি আরও বলেন, 'ওদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা সবসময় একটা ভয় ও হুমকির পরিবেশের মধ্যে বেঁচে থাকেন। তাই বাঁচার তাগিদে তাঁরা অবৈধভাবে এপারে আসতেও পারেন। বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় এই প্রবণতা বেশি দেখা যাবে, যাতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁরা আবার ফিরে যেতে পারেন।'
তবে অবৈধভাবে এদেশে আসার বিষয়টি কার্যত পুরোপুরিই শেখ হাসিনা সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করেন প্রাক্তন এই বিএসএফ কর্তা। তিনি বলেন, 'এটা নির্ভর করছে হাসিনা সরকারের ওপর। যদি বিজিবিকে (BGB) নির্দেশ দেওয়া হয় যে কেউ ভারতে যেতে গেলেই তাঁকে আটকানো হবে এবং একইসঙ্গে যদি তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এটা আটকানো যাবে।' অন্যদিকে আরও এক অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্তা প্রভাস কুমার মিশ্রা জানাচ্ছেন, 'বাংলাদেশে বর্তমানে যে ঘটনা ঘটছে এর ফলে নিশ্চিতভাবে অনুপ্রবেশ বাড়বে। মানুষ অনেক কম দামে নিজেদের জমি বাড়ি বিক্রি করে ভারতে চলে আসবেন।'
এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশে সরকার। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকশো জনকে। রুজু হয়েছে বেশকিছু মামলা। এই প্রসঙ্গে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) জানিয়েছেন, 'বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সমস্ত মানুষ নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবেন। দেশের সংবিধানেও সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। দেশের সমস্ত মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেটাই সরকারের লক্ষ্য।'