ফের ভয় দেখাচ্ছে কোভিড(Covid)। যেকারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক উড়ান দেশে ঢোকার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
সমস্ত ভ্রমণকারীকে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। বিমানে করোনা সচেতনতা কর্মসূচি রাখতে হবে। এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরতে হবে মাস্ক। ভ্রমণের সময় কোনও যাত্রীর COVID-19-এর উপসর্গ থাকলে তাকে স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুযায়ী আলাদা করা হবে। এবং পরবর্তীতে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য একটি কোয়ারেন্টাইন করা হবে। প্রতিটি যাত্রীর তাপমাত্রা মেপে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে।
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের জেরে উদ্বেগের কথা ভেবে যাত্রিবাহী আন্তর্জাতিক উড়ানে একাধিক বিধিনিষেধ শুরু করা হল। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর তরফেও একটি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশে করোনার সার্বিক গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ভয় ধরাচ্ছে চিনের পরিস্থিতি। তাই কেন্দ্রের তরফে বিদেশ থেকে আসা বিমানের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কাল থেকেই কার্যকর করা হয়েছে বিধিনিষেধ।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছিল দিল্লি। মৃত্যু মিছিল দেখেছিল শহর। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে কোভিডবিধি চালু করার ঘোষণা করেছে।
চিনে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘বিএফ.৭’-এর তাণ্ডব চলছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান যে, চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-জ্যাকলিনের বিদেশ যাওয়ায় আাদালতের আপত্তি, আবেদন প্রত্যাহার