দেশদ্রোহিতার অভিযোগ, বরখাস্ত ১১ কর্মী
দেশ বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের ১১ জন সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করা হল। তাদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৩১২/2-সি অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। উগ্রপন্থী সালাহউদ্দিনের দুই ছেলেকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
গোটা জম্মু কাশ্মীরেই মিলেছে জড়িত থাকার অভিযোগ
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী বরখাস্ত করে দেওয়া ১১ জন কর্মচারীর মধ্যে ৪ জন অনন্তনাগ জেলা, ৩ জন বদগাম, শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং কুপওয়ারা থেকে একজন করে কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষা দফতর, ২ জন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং ১ জন কৃষি বিভাগ, ২ জন কারিগরি দপ্তর, একজন বিদ্যুৎ বিভাগ এবং অন্যজন এসকেআইএমএস এবং স্বাস্থ্য বিভাগ এ কর্মরত ছিলেন।
তথ্য পাচার ও হামলার অভিযোগ
অনন্তনাগ জেলার ২ জন শিক্ষক জামাতে ইসলাম (জেই) এবং দুখতাড়ন-এ-মিল্লাত (ডিএম) এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা এই দুই সংগঠনের ভাবধারা সমর্থন এবং প্রচার করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দুই কনস্টেবল দেশ বিরোধী কার্যকলাপে শামিল ছিলেন। যাদের মধ্যে পুলিশ বিভাগের ভিতরে বিভিন্ন গতিবিধি সম্পর্কে খবরা-খবর দিচ্ছিলেন। এক কনস্টেবল আব্দুল রশিদ নিজেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর হামলা করেছিল বলে অভিযোগ।
অস্ত্র, গোলাবারুদ পাচারের অভিযোগ
বিদ্যুৎ বিভাগের ইন্সপেক্টর শাহীন আহমেদ লোনকে হিজবুল মুজাহিদিন-এর জন্য হাতিয়ার চুরি এবং তা পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্ত গত বছর জানুয়ারিতে শ্রীনগর-জম্মু ন্যাশনাল হাইওয়েতে উগ্রপন্থীদের সাথে হাতিয়ার, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা গিয়েছে। খবর মিলেছে।
৩৭০ ধারা রদের ২ বছর পূর্তি
আগামী মাসে ৩৭০ ধারা সরিয়ে দেওয়ার দু বছর পূর্তি হবে। অগাস্ট ২০১৯ এ কেন্দ্রীয় সরকার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে দেয় এবং জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।