বাংলাদেশে ইসকন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আর ইসকনের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, চিন্ময়ের করা মন্তব্য বা কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত এবং এর জন্য ইসকন কোনও দায়িত্ব বহন করবে না।
চারু চন্দ্র দাস বলেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন এবং তাঁর দেওয়া বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড ইসকনের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।” এই ঘোষণার মাধ্যমে ইসকন তাদের সংগঠনের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়।
ইসকনের বিবৃতি
২৬ নভেম্বর ইসকন একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে তাদের সদস্য হিসাবে উল্লেখ করেনি। বরং, তাঁকে "বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট"-এর মুখপাত্র হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি নবগঠিত ছাতা সংগঠন, যা বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
সংঘাতের কারণ কী?
ইসকনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এবং মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ইসকন তাঁর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণ ব্যাখ্যা করেনি, তবে বিভিন্ন মহলে ধারণা করা হচ্ছে, সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ভূমিকা
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন মুখপাত্র। এই সংগঠনটি সনাতনী সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে ইসকন তাঁদের সঙ্গে চিন্ময়ের সম্পর্ককে সম্পূর্ণ পৃথক করেছে এবং পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, এর সঙ্গে ইসকনের কোনো যোগাযোগ নেই।
ইসকনের অবস্থান স্পষ্ট
ইসকন এই ঘটনায় তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে জানিয়েছে, চিন্ময়ের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই ইসকনের নীতি বা আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না। সংগঠনটি তাদের কর্মসূচি এবং কর্মকাণ্ডকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখতে বদ্ধপরিকর।