যত কাণ্ড ঝাড়খণ্ডে! আজ অর্থাত্ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা তথা সদ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে পদত্যাগ করা হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) আবেদনের আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।
বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন হেমন্ত
জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত। বুধবার গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে রাঁচির PMLA আদালত একদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আজ শপথ চম্পই সোরেনের
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেমন্ত। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিচ্ছেন চম্পাই। যদিও রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে চম্পাইকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
চম্পাইয়ের কাছে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তার প্রমাণে, বিধায়কদের দাঁড় করিয়ে নম্বর তাঁদের নিজেদের মুখ দিয়ে বলিয়ে একটি ভিডিও সম্প্রতি রাজ্যপালের কাছে পাঠান চম্পাই। রাজ্যপালের দেওয়া ১০ দিনের সময়সীমাতেই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তাদের ভয়, এই ১০ দিনেই বিধায়ক কেনাবেচা হতে পারে। ফলে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অঙ্ক
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এর মধ্যে হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ায় বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চার জনের দেখা পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসু ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন।
বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কায় ৩৯ জন বিধায়ককে দু’টি চার্টার্ড বিমানে কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের কোনও রিসর্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় বৃহস্পতিবার। রাজভবন থেকে বেরোনোর সময় চম্পাই বলেন, 'আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচির সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।' এর খানিক পরেই চম্পইকে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল।