কাঁওয়াড় যাত্রায় নেমপ্লেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। কাঁওয়াড় যাওয়ার পথে যে সব খাবার দোকান রয়েছে সেসব দোকান মালিকের নাম, পরিচয় প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, দোকানদার বা ব্যবসায়ীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করার কোনও প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, দোকানদারদের কেবল খাবারের ধরণ সম্পর্কে জানাতে হবে। অর্থাৎ দোকানে আমিষ না নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়, তা জানাতে হবে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশ সরকারকে এই নিয়ে নোটিশও জারি করেছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, আবেদনকারীরা যদি অন্য রাজ্যগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চান তবে সেই রাজ্যগুলিকেও নোটিশ জারি করা হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৬ জুলাই।
শুনানির সময় কী যুক্তি দেওয়া হয়? উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছিল কাঁওয়াড় যাত্রাপথে যে সব দোকান আছে সেগুলোকে নাম-পরিচয় টাঙাতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস। সোমবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময়, মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী কোর্টকে জানান, এই রকম কোনও নির্দেশিকা দেওয়ার অধিকার উত্তরপ্রদেশ সরকারের নেই। এমন ঘটনা কোনওদিন আগে হয়নি।
কাঁওয়াড় যাত্রায় নেমপ্লেট লাগানোর নির্দেশিকা জারি হয়েছিল মুজাফফরনগর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কানওয়ার যাত্রার আগে এই নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। জানানো হয়েছিল, রাস্তার পাশের স্টল সহ প্রতিটি খাবারের স্টলের মালিকদের তাদের নামের সঙ্গে একটি বোর্ড লাগানো বাধ্যতামূলক। মুজাফফরনগর থেকে এই নিয়ম শুরু হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন একে বাস্তবায়িত করতে রাস্তায় নামে।
যোগী আদিত্যনাথ ১৯ জুলাই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। নেমপ্লেট লাগানোর পাশাপাশি হালাল পণ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ সামনে আসার পর উচ্ছ্বসিত বিজেপি বিরোধী শিবির। সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে লেখেন, 'কানওয়াড় যাত্রা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এটা আমাদের সংবিধানের জয়। এভাবেই সংবিধানকে আমরা রক্ষা করে যাব।'