ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় টুকলি। ক্রমেই দেশে এমন ঘটনা বাড়ছে। এমতাবস্থায় কড়া পদক্ষেপ নিল কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথরিটি (KEA)। নয়া সিদ্ধান্তে বোর্ড এবং কর্পোরেশনের নিয়োগ পরীক্ষায় মাথা ঢাকা দেওয়া কোনও পোশাক পরা যাবে না।
একইভাবে ভারী গহনা পরা যাবে কিনা,তাই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ গহনার মধ্যেও ব্লুটুথ ইয়ারবাড লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে।
কিন্তু ডানপন্থী সংগঠনগুলির চাপের মুখে পরে সেই বিষয়ে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হয় কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথরিটি। সেই মতো মঙ্গলসূত্র (বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের পরিহিত কালো পুঁতির হার) এবং পায়ের আঙুলের আংটির অনুমতি দিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই 'ড্রেস কোডে'র তালিকায় নিষিদ্ধ পোশাকের তালিকায় স্পষ্ট করে 'হিজাবে'র উল্লেখ করা হয়নি। খালি বলা হয়েছে যে, মাথা ঢাকা দেওয়া কোনও পোশাক পরে পরীক্ষা দিতে আসা যাবে না।
এর ফলে হিজাবও যে পরা যাবে না, তা বলাই বাহুল্য। একইভাবে শীতের উলের টুপি, ক্যাপ ইত্যাদিও পরে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। এই নিয়ম পুরুষ ও মহিলা পরীক্ষার্থী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এর আগে যে ক'টি এমন ঘটনা ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে, কান ঢাকা টুপি বা হিজাবের আড়ালে কানে ব্লুটুথ ইয়ারবাডস পরে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করেছে প্রতারক পরীক্ষার্থী।
এমন ক্ষেত্রে প্রতারক প্রশ্নপত্র বিড়বিড় করে পরতে থাকে। বাইরে ব্যাগে রাখা ফোনের সঙ্গে ব্লুটুথ ইয়ারবাডস কানেক্টেড থাকে। আর কল করা থাকে কোনও সাহায্যকারী বন্ধুর ফোনে। ওপার থেকে সেই ব্যক্তি প্রশ্ন শুনে তার উত্তর খুঁজে বের করে এবং বলতে থাকে। সেই মতো পরীক্ষার্থী উত্তর লিখতে থাকে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর কর্ণাটকে বিভিন্ন বোর্ড ও কর্পোরেশনের পরীক্ষার কথা। তার ঠিক আগে আগে এই নিয়মের ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথরিটি (KEA) জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে 'মাথা, মুখ বা কান ঢেকে রাখে, এমন কোনও পোশাক বা ক্যাপ' পরার অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, 'এটি পরীক্ষা হলে ব্লুটুথ ডিভাইসের ব্যবহার করে প্রতারণা বন্ধ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।'