দেশে লাগামহীন ভাবে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়ানক। প্রতিদিন দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই আবহে হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা করোনার নতুন এপিসেন্টার হয়ে উঠছে। সাধু, সন্ন্যাসীদের ভিড় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। এই আবহে কুম্ভ মেলাকে প্রতীকি করার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকালে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে মোদী লেখেন, "শাহী স্নান শেষ হয়ে গিয়েছে, এই সময়ে কুম্ভ মেলাকে প্রতীকি রাখা হোক এমন প্রার্থনা করছি। এতে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে।"
আরেকটি ট্যুইটে মোদী লেখেন, "আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর পুজ্য স্বামী অবোধেনন্দ গিরিজীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সাধু-সন্তদের খোঁজ নিলাম। সাধুদের সকল আখড় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। আমি এর জন্য ধন্যবাদ জানাই।"
হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় সন্ন্যাসীদের ১৩ টি আখাড়া অংশ নেয়। এবছরেও সেখানে একাধিক আখাড়া থেকে সাধুরা যোগদান করতে শুরু করেছিলেন। যখন দেশে সংক্রমণ বাড়ছে তখন লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর সমাগত হয় হরিদ্বারে। তবে ১৪ এপ্রিল মেষ সংক্রান্তিতে শাহি স্নানের পর থেকে আখাড়ার একাধিক সাধুদের মধ্যে করোনার প্রভূত উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। একাধিক আখাড়ার নামী সন্ন্যাসীদের ৬৮ জন কোভিড পজিটিভ হন। আর তা ঘটে এপ্রিলের ৫ তারিখ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে। এরপরই বিভিন্ন আখাড়া কুম্ভমেলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবারই ১৩টি আখড়ার মধ্যে দু’টি আখড়া বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের কোভিড পরিস্থিতির অবনতির জন্যই নিরঞ্জনী আখড়া এবং তপোনিধি শ্রী আনন্দ আখড়া এই সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যাচ্চে গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কুম্ভমেলায় প্রায় ৪৮.৫১ লাখ ভক্তরা পূন্যস্নান করছেন। সেই সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি অধিকাংশকেই। এবার উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী তাই মেলা প্রতীকি করার আবেদন জানালেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর অবধেশানন্দ গিরি বলেন, "আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই! নিজের এবং অন্যের জীবন রক্ষা করা মহান পুণ্য। আমার ধর্ম পারায়ণ জনগণ কোভিডের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। "