গত বছরের মে মাস থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতবস্থা বজায় রয়েছে। এবার সম্পর্কের সেই বরফ আলোচনার মাধ্যমে গলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সামরিক পর্যায়ের আলোচনা থেকে সমাধানের পথ বের হয়েছে। ভারত ও চীন পূর্ব লাদাখের গোগরা হাইটস এলাকা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। গোগরা হাইটস এলাকায়, গত বছরের মে থেকে উভয় দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল।
সরকারি সূত্র আজ তাককে জানিয়েছে, সামরিক পর্যায়ে দ্বাদশ দফা আলোচনার সময় একটি চুক্তি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী , ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং লেক এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এরপর থেকে গোগরা হাইটস এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ঝুলে ছিল। উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে কোন ঐক্যমত্য ছিল না। সূক্রের কথা মানলে , তাহলে দুই দেশ সহমতিতে আসার পর শীঘ্রই সেনা সরানোর কাজ শুরু হবে। উভয় দেশই সেনাবাহিনীকে শীঘ্রই গোগরা হাইটস থেকে প্রত্যাহার করতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও চিনের মধ্যে ১২ তম রাউন্ডের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক চুশুল-মোলদোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে গত ১৪ জুলাই দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। এছাড়া গত ২৫ জুন ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শক ও সমন্বয় প্রক্রিয়া (ডব্লিউএমসিসি) নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে , ভারত এবং চিন এলএসি-র পশ্চিমাঞ্চলের সেক্টরগুলি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে অচলাবস্থার ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে গভীর আলোচনা করে।
উভয় পক্ষই এই এলাকায় অচলাবস্থার সমাধান সম্পর্কিত তাদের মতামতের খোলাখুলি আলোচনা করেছে। উভয় পক্ষ আলোচনাকে গঠনমূলক বলে বর্ণনা করে এবং বলেছে যে এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করেছে। উভয় দেশের কর্মকর্তারা বিদ্যমান চুক্তি এবং প্রটোকল অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনার গতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন। উভয় পক্ষ এলএসি বরাবর শান্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, গোগরা হাইট নিয়ে বহু দিন ধরেই চিন ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের আবহ চলছিল। বিশেষত এই গোগরা উচ্চতা থেকে নিজেদের সরাতে চায়নি লালফৌজ। তবে এদিন জানা গিয়েছে, বহু আলোচনার পর শেষমেশ লাদাখের গোগরা উপত্যকা থেকে ডিসএনগেজমেন্টে সায় দিয়েছে চিন। ফলে এবার ভারত ও চিন দুই দেশই গোগরা উপত্যাকা থেকে ডিসএনগেজমেন্টের পথে হাঁটবে।