১৮তম লোকসভা নির্বাচনে সাত দফা ভোটের পর ৪ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার রেজাল্টের অপেক্ষায় গোটা দেশ। কেন্দ্রে NDA সরকার আসবে নাকি INDIA ব্লক তাঁদের ম্যাজিক দেখাবে তা সন্ধ্যে পর্যন্ত স্পষ্ট হয়ে যাবে। আজতক-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এক্সটি পোলের মতে, বিজেপির নেতৃত্বে থাকা NDA সরকারের বিপুল ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি NDA এই নির্বাচন জেতে তাহলে নরেন্দ্র মোদী জওহরলাল নেহেরুর পর পরপর তিনবার ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসবেন। তবে আপাতত দেশজুড়ে সকলের নজর রেজাল্টের দিকে। ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রের ৫৪৩ আসনের গণনা শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে।
নির্বাচন কমিশনের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা বিধানসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রেন্ডিং অনুসারে, আবারও এনডিও ও ইন্ডিয়া ব্লকের মধ্যে জোরদার টক্কর দেখা যাচ্ছে। NDA এগিয়ে রয়েছে ২৮৯টি আসনে, INDIA ব্লক ২২১টি আসনে অন্যান্য ৩২টি আসনে এগিয়ে এখনও পর্যন্ত। মোট ৪৫৬টি আসনের ট্রেন্ড এসেছে। যার মধ্যে ইউপির ৬৯টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে এগিয়ে বিজেপি, ২০টি আসনে এগিয়ে এসপি ও ৬টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
তিরুবন্তপুরম কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী থারুর। বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর এগিয়ে রয়েছেন ২৩টি ভোটে। রায়বরেলি থেকে এগিয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। অপরদিকে গান্ধীনগর আসন থেকে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ। আজমের লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির ভগীরথ এগিয়ে রয়েছে। ট্রেন্ডিংয়ে বড় ওলট পালট হতে চলেছে। এনডিএর আসন ক্রমাগত বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশের ৫৪৩টি আসনের ফল ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। দেশজুড়ে ১,২২৪টি গণনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই কাউন্টিংয়ে ২২ লক্ষ আধিকারিক যুক্ত রয়েছেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত আধা খবর চলে আসার কথা।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপি ৩৭০ এবং এনডিএ ৪০০-এর টার্গেট নির্ধারণ করেছিলেন এবং সেই সময় দলের স্লোগান দিয়েছিল 'এবার আমরা ৪০০ পার করব। আর এই নিয়েই বারংবার বিরোধীরা প্রশ্ন তুলে আসছেন। তবে এক্সটি পোলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে এটা আবারও প্রমাণ হবে যে একজন নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদী দেশের মানুষের মন ও রাজনৈতিক মেজাজকে ভালই বোঝেন। কয়েক দশক পরে, এমন একটি সময় এসেছে যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার হ্যাটট্রিক করতে চলেছে। ১৯৮৪ সালে, কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী সরকার ৪০০ পেয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাচনে সহানুভূতি বেশি কাজ করেছিল।