লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, INDIA জোটের শরিকরা যাতে বিদ্রোহ না করে, আসন ভাগাভাগির আলোচনায় এই বিষয়টিকেই মূলত মাথায় রেখেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস যদি বেশি আসন চায়, সে ক্ষেত্রে অশান্তি এড়াতে শেষ পর্যন্ত আপোশের ফর্মুলাতেই হাঁটতে হতে পারে রাহুল গান্ধীদের।
যেমন বিহারে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ৪০টি আসনের মধ্যে ১০ থেকে ১২টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারে কংগ্রেস। বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে। বিহারে কংগ্রেস চেয়েছিল ২৫টি আসন। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, জেডিইউ ও আরজেডি-র পারফর্ম্যান্সের উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে কংগ্রেস জোটের স্বার্থে আপোশ করতে পারে।
ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ১৪টির মধ্যে ১২টি আসনে লড়াই করা উচিত কংগ্রেসের। খুব দর কষাকষি চললেও, ৭টির কমে আসন ছাড়াই উচিত নয়।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, ৪০টি আসনে লড়াই করতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আপোশ করে ২০টি আসন তো নিশ্চিত পাওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশে মোট ৮০টি লোকসভা আসন।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস চাইছে ৬টি আসন। সম্ভবত খুব বেশি হলে ৪টির বেশি আসন ছাড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও একটি সূত্রের দাবি, বাংলায় কংগ্রেসকে মাত্র দুটি আসন দিতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্জাবের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু ঘোরাল হয়ে আছে। সে রাজ্যে আপ চাইছে একা লড়াই করতে। যার নির্যাস, পঞ্জাব নিয়ে কোনও রিপোর্ট এখনও কংগ্রেসের জাতীয় জোট কমিটির কাছে জমা পড়েনি।
কংগ্রেসের ওই কমিটি ইতিমধ্যেই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এবার শীঘ্রই জোটের বাকি শরিকদের সঙ্গে বসবে কংগ্রেস।
খবরটি ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন