আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে জোট বাঁধল সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। বুধবার জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল। এই সমঝোতায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ১৭টি আসনে লড়াই করবে। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অবিনাশ পাণ্ডের কথায়,'দেশে গণতন্ত্র বাঁচাতে ও সংবিধান সুরক্ষিত রাখতে ইন্ডিয়া জোট গড়েছে দায়িত্বশীল বিরোধীরা। সেই সূত্রেই দুই দলের সভাপতিদের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আমি খুশি যে উত্তরপ্রদেশে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কংগ্রেস ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী দেবে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।'
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে ১৭টি আসন ছেড়ে দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। ফলে এবার ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। বিরোধী জোটের বৈঠকে বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার কংগ্রেস বারাণসীতে কাকে প্রার্থী করে! এছাড়া বাকি ১৬টি আসন হল- রায়বরেলি, অমেঠি, কানপুর নগর, ফতেহপুর সিক্রি, বাঁসগাঁও, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ, মহারাজগঞ্জ, আমরোহা, ঝাঁসি, বুলন্দশহর, গাজিয়াবাদ, মথুরা, সীতাপুর, বারাবাঁকি ও দেওরিয়া। বলে রাখি, অমেঠি ও রায়বরেলিতে প্রার্থী হতেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। গতবার অমেঠিতে হারেন রাহুল গান্ধী। রায়বরেলিতে জিতেছিলেন সনিয়া। তবে এবার আর সেখানে প্রার্থী হবেন না তিনি। কারণ রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী।
সপার রাজ্য সভাপতি নরেশ উত্তম পটেল বলেন,'দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সংবিধানের কাঠামোকে যারা দুর্বল করছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করব। লোকসভা নির্বাচনের আগে হাতে সময় কম। তার আগে কংগ্রেস এবং এসপি জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিল। দেশে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার করার চেষ্টা করব।'
মধ্যপ্রদেশে সপা-কে একটি আসন ছেড়েছে কংগ্রেস। সে রাজ্যের খাজুরাহো আসনে প্রার্থী দেবে তারা। বাকি আসনগুলিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করবে অখিলেশের দল। সপার জাতীয় সচিব রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেন,'বিজেপির কারণে গণতন্ত্র বিপদের মুখে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ইন্ডিয়া জোট বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনব। বিজেপি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেনি।'