ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত (Preliminary Enquiry) শুরু করল সিবিআই। পিটিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, লোকপালের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কৃষ্ণনগরের সাংসদকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের করার সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। আগামী মাসে বসছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তখনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলের সাংসদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'মহুয়াকেও তাড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান করছে। তাতে তো ও পপুলার হয়ে যাবে, তিন মাসের জন্য। যেটা ভিতরে বলত, সেটা বাইরে বলবে। হয়ে গেল, কী যায় আসে! মূর্খ না হলে কেউ এই কাজ করে ইলেকশনের ৩ মাস আগে? ভাবছে এভাবে সংখ্যা কমাবে। ওরা যদি আমার ৪ জনকে জেলে রাখে আমি ৮ জনকে জেলে ভরব।'
সম্প্রতি মহুয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। সেই অভিযোগ স্বীকার করে নেন হীরানন্দানি। তিনি এও জানান, সরকারের প্রশ্ন করার জন্য মহুয়ার সংসদের লগ ইন ব্যবহার করেছিলেন। সেই সঙ্গে মহুয়াকে বিলাসবহুল উপহার, দিল্লির বাংলো মেরামত, দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর খরচও দিয়েছিলেন তিনি।
তার পাল্টা হীরানন্দানির স্বীকারোক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। দর্শন হীরানন্দানিকে সিবিআই বা এথিক্স কমিটি তলব করেনি। কোনও তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেনি, তাহলে তিনি কার কাছে এই হলফনামা জমা দিয়েছেন? সাদা কাগজে অভিযোগ লেখা হয়েছে, অফিসিয়াল লেটারহেড বা নোটারাইজড চিঠিতে নয়।