লোকসভার অধিবেশন নিয়ে এবার স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) নিশান করে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)। এমনকী এই ট্যুইটের জন্য তিনি জেলে যেতেও রাজি বলে উল্লেখ করেন মহুয়া। খুব স্বাভাবিকভাবেই মহুয়ার এই ট্যুইটকে ঘিরে সরগরম রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি।
ঠিক কী লিখেছেন মহুয়া মৈত্র?
একটি ট্যুইটে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, 'শেষ তিনদিন ধরে দেখছি স্পিকার ওম বিড়লা মাইকে শুধু বিজেপির মন্ত্রীদের বক্তব্য রাখতে দিচ্ছেন, আর তারপরেই বিরোধী সদস্যদের বলতে না দিয়ে সংসদ মুলতুবি করে দিচ্ছেন। গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে এবং স্পিকার সেটিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ট্যুইটের জন্য আমি জেলে যেতেও রাজি আছি'। ট্যুইটে স্পিকার ওম বিড়লাকে ট্যাগও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আদানিকাণ্ড এবং রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কয়েক দিন ধরেই উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। লোকসভা মুলতুবিও করতে হয়েছে স্পিকার ওম বিড়লাকে। তাই এবার সেই স্পিকারকেই নিশানা করে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। বুধবার গভীর রাতে এই ট্যুইটটি করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। এছাড়া মঙ্গল ও বুধবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণাতেও বসেন তৃণমূল সাংসদরা।
শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গঠনের দাবিতে সংসদে সরব বিরোধী সাংসদেরা। অন্যদিকে, ব্রিটেন সফরে গিয়ে করা মন্তব্য জন্য কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছে সরকার পক্ষ। এই দুই বিষয়ে ক্রমাগতই উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষই। বাকেবারে মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। এবার তাই নিয়েই ট্যুইটে আক্রমণ মহুয়ার।
যা বলেছিলেন রাহুল...
প্রসঙ্গত, লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, "এই পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতীয় সংসদের অমিল রয়েছে। তবে সেখানে মাইক খারাপ হয় না। বিতর্ক চলাকালীন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়"। রাহুল আরও বলেন, "গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে আরএসএস। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে RSS। দেশের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের প্রকৃতিই পালটে দিয়েছে"। রাহুলের এহেন মন্তব্যের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আসরে নামে বিজেপি।
আরও পড়ুন - দু'বঙ্গেই একটানা কয়েকদিন বর্ষণের পূর্বাভাস, আজ ৫ জেলায় হতে পারে শিলাবৃষ্টিও