ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান দিচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ৩০ মে তাঁর হাতে মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন। এমনটাই জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র। ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন রাধিকা সেন। গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর (মোনুস্কো) সদস্য হন তিনি।
মোনুস্কোর ইন্ডিয়ান র্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট ব্যাটালিয়নের এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডারের দায়িত্ব সামলেছেন রাধিকা। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দায়িত্বেই ছিলেন তিনি। রাধিকা যে সম্মান পাচ্ছেন তা এর আগে ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন মেজর সুমন গাওয়ানি। তাঁর পর দ্বিতীয় ভারতীয় শান্তিরক্ষা সদস্য হিসেবে এই সম্মান পেতে চলেছেন রাধিকা।
মেজর সেন কঙ্গোতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মিশনে একজন ভারতীয় নারী শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বে সেনারা সংঘাত-পীড়িত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছিল, বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে। মেজর সেনের নম্রতা, সহানুভূতি ও নিষ্ঠার কারণে সংঘাত-আক্রান্ত মহিলারা শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর আস্থা রাখতে পেরেছিল।
১৯৯৩ সালে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন মেজর সেন। ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি বায়োটেক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর আইআইটি বম্বে থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। তিনি আইআইটি বম্বেতে থাকাকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
রাধিকার ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁকে সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গুতেরেস আরও বলেন, মানবিকতা এবং দায়বদ্ধতার অন্যতম সেরা উদাহরণ রাধিকা সেন। এই সম্মান পাওয়া নিয়ে মেজর নিজে জানিয়েছেন, ''আমার এই সম্মান পাওয়া সমস্ত শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে শান্তিরক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।''