Advertisement

Mamata On Samvidhaan Hatya Diwas: 'সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা...', উদ্ধবকে পাশে নিয়ে বললেন মমতা

মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্তের বিয়ে উপলক্ষে মুম্বইয়ে গিয়েছেন মমতা। নেমন্তন্ন রক্ষার আগে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন। যা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন উদ্ধব।

মমতার নিশানায় মোদী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 12 Jul 2024,
  • अपडेटेड 5:43 PM IST

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ওই দিনটিকে 'সংবিধান হত্যা দিবস' হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করল মোদী সরকার। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে মোদী সরকারের জমানায়। 

মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্তের বিয়ে উপলক্ষে মুম্বইয়ে গিয়েছেন মমতা। নেমন্তন্ন রক্ষার আগে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন। যা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন উদ্ধব। সেখানেই 'সংবিধান হত্যা দিবস' নিয়ে প্রশ্নে মমতা বলেন,'সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা জারি করেছে মোদী সরকারের আমলেই। ন্যায় সংহিতার নামে নতুন ফৌজদারি আইন এনেছে ওরা। তাতে কী আছে কেউ জানে না। কেউ জানে না কীভাবে এফআইআর করতে হবে! ৬ বছর জেলে পাঠিয়ে দেবে। সকলেই ভীত-সন্ত্রস্ত্র। আমরা জরুরি অবস্থার সমর্থন করি না'।

মোদী সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,' মুম্বইয়ে কীভাবে ওরা ৪৮ ভোটে জিতল, সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন। এটা স্থায়ী সরকার নয়। বেশিদিন হয়তো টিকবে না'। মমতা আরও বলেন,'খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে'। 

চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভার নির্বাচন। তিনি উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে মুম্বই যাবেন বলে জানান মমতা। এও স্পষ্ট করেন, ইন্ডিয়া মঞ্চে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবে তৃণমূল। তবে বাংলায় বিরোধী জোটে নেই তৃণমূল। তাঁর কথায়,'বাংলায় বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিএম একসঙ্গে লড়াই করে। সেখানে কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই'।   

সংবিধান হত্যা দিবস

শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে শাহ ঘোষণা করেছেন, '১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছিলেন। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ভারতের গণতন্ত্রের আত্মার টুঁটি চেপে ধরেছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে যেতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। এই দিনটি মনে করাবে সেই সমস্ত মানুষের অবদানের কথা, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময় অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন।'

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement