যৌনতার চরম মুহূর্তের হাতের কাছে ছিল না কোনও কন্ডোম। শেষে কিছু না পেয়ে যৌনাঙ্গে আঠা লাগিয়ে নেয় যুবক। আর তাতেই ঘটল মারাত্মক কাণ্ড। কিছুক্ষণ পরেই অসুস্থ হয়ে যেতে শুরু করে ওই যুবক। তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু ওই যুবকের কাণ্ডে হতবাক পুলিশ থেকে শুরু পরে পরিজনরাও।
ঠিক কী হয়েছিল
ঘটনা গুজরাটের আহমেদাবাদের। ওই যুবকের নাম সলমন। ২২ তারিখ সলমন নিজের প্রাক্তন স্ত্রীয়ের সঙ্গে আহমেদাবাদের একটি হোটেলে উঠেছিল। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারে, দুই জন মহিলাকে নিয়ে হোটেলে এসেছিল সলমন। একজন মহিলা কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুটি নিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যায়। অপর যুবতীর সঙ্গে হোটেলের রুমে ছিল সলমন। সেই যুবতী সলমনের প্রাক্তন স্ত্রী। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হোটেলেই প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয় সলমন। কিন্তু কন্ডোমের বদলে যৌনাঙ্গে আঠা ব্যবহার করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সলমন। ভয় পেয়ে ওই যুবতী বাকিদের খবর দেন।
করুণ পরিণতি যুবকের
পরে সলমনের পরিচিতরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সলমনকে বাঁচানো সম্ভত হয়নি। বিষয়টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলেই দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সলমনের দেহে একাধিক অঙ্গ অকেজো হয়ে গিয়েছিল ঘটনার পরে। তার থেকেই মৃত্যুও হতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, সলমন ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দুজনেই মাদকাসক্ত। সঙ্গমের সময়ে গর্ভবস্থা এড়াতে কন্ডোম নিয়ে আসতেই ভুলে গিয়েছিলেন তারা। এরপরেই আঠা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তাতেই করুণ পরিণতি হয় যুবকের।
তদন্তে পুলিশ
যদিও সলমনের পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু এখনও ভিসেরা রিপোর্ট আসেনি। সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে আপাতত। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওই যুবকের এমন কাণ্ড নিয়ে। কন্ডোমের বদলে কেউ যৌনাঙ্গে আঠা কেন ব্যবহার করতে যাবে, তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না অনেকে।