Advertisement

Manipur President Rule: মণিপুরের কী হবে? রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি কুকিদের, পাল্টা কেন্দ্রকে শর্ত মেইতিদের

৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি উঠেছে। মণিপুরের ৯টি কুকি উপজাতির প্রতিনিধিত্বকারী জোমি কাউন্সিল স্টিয়ারিং কমিটি (ZCSC) এই দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, মেইতি সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন (COCOMI) কেন্দ্রের কাছে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা না করার আবেদন জানিয়েছে।

মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Jul 2023,
  • अपडेटेड 9:37 AM IST

৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা  অব্যাহত রয়েছে। এদিকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি উঠেছে। মণিপুরের ৯টি কুকি উপজাতির প্রতিনিধিত্বকারী জোমি কাউন্সিল স্টিয়ারিং কমিটি (ZCSC) এই দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, মেইতি সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন (COCOMI) কেন্দ্রের কাছে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা না করার আবেদন জানিয়েছে।

জোমি-কুকি সংগঠনটি রাজ্যের আদিবাসী এবং অ-উপজাতিদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপও চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা একটি চিঠিতে, ZCSC বলেছে, "মণিপুরে আদিবাসীদের উপর হামলার মূল কারণ সম্পর্কে এনআইএ তদন্ত করা উচিত এবং সমস্ত উপত্যকা জেলায় AFSPA পুনরায় প্রয়োগ করা উচিত, যাতে সেনাবাহিনী  আইন শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।"

অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করা প্রয়োজন - ZCSC 
এই চিঠিতে, ZCSC প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে, দেশের এই সংবেদনশীল এবং কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের পূর্ব কোণে অবস্থিত রাজ্যটিতে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি  ফিরিয়ে আনতে আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে সাংবিধানিক ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার কারণে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা (রাষ্ট্রপতির শাসন) কার্যকর করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

ZCSC দাবি করেছে যে রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে৫০০০ এরও বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং লক্ষাধিক গোলাবারুদ লুট করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইনটি উপত্যকার সমস্ত জেলায় আবার কার্যকর করা উচিত, যাতে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে কমিটি আরও অভিযোগ করেছে যে কুকি-জোমি আদিবাসীদের প্রতি অবিচার, প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলা এবং বৈষম্য কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ যা সমগ্র বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে তা মণিপুরের বর্তমান সংগ্রামের একটি উদাহরণ মাত্র। ওই চিঠিতে দুই কুকি নারীর সঙ্গে বর্বরতার ভিডিওর উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনাটি ৪ মে ঘটে এবং ১৯ জুলাই ভাইরাল হয়।

Advertisement

কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন না - COCOMI 
অন্যদিকে, মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন COCOMI, মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে কুকি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য আবেদন করেছে। কমিটির দাবি, রাজ্যে হিংসার জন্য এই দলগুলোই দায়ী। সংগঠনটির দাবি, কুকি চরমপন্থী গোষ্ঠীর বিদেশি সদস্যও রয়েছে। ইম্ফলে মিডিয়াকে সম্বোধন করে, COCOMI-এর আহ্বায়ক জিতেন্দ্র নিঙ্গোম্বা বলেছেন, "আমরা মিডিয়া সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছি যে ভারত সরকার বুধবার কুকি সংস্থাগুলির সঙ্গে  আলোচনায় বসতে চলেছে। আমরা এর সম্পূর্ণ বিরোধী। সরকারের এমন কোনও কুকি গোষ্ঠীর সঙ্গে  আলোচনা করা উচিত নয় যারা আগে সরকারের সঙ্গে  সাসপেনশন অফ অপারেশনস (SOO) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।"

জিতেন্দ্র বলেছেন যে রাজ্যের আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করা যাবে না এবং আলাদা প্রশাসনের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিজের  দাবিতে জোর দেওয়ার জন্য COCOMI ২৯ জুলাই একটি সমাবেশের আয়োজন করবে। অন্যদিকে, দিল্লিতে COCOMI মুখপাত্র কে অথোবা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে মণিপুরে হিংসা বন্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, গুজরাতে ২০০২ সালের দাঙ্গার সময় চার দিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল, তাহলে মণিপুরের মতো রাজ্যে কেন হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে
 মণিপুরে ৩ মে কুকি সম্প্রদায়ের 'আদিবাসী একতা মার্চ'-এর সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে  সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হিংসায় এ পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মেইতিরা মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩% এবং বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে, অন্যদিকে ৪০% উপজাতি, যারমধ্যে নাগা এবং কুকি সহ বেশিরভাগই পার্বত্য জেলাগুলিতে বাস করে।

 
 

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement