Manipur Horrific Video: গত দু’মাস ধরে জাতিগত হিংসার আগুনে পুড়ছে গোটা মণিপুর। এসবের মাঝে বুধবার গত ৪ মে-র একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই এখানে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। মণিপুরের জাতিগত হিংসায় সেখানকার মহিলাদের উপর হওয়া অকথ্য অচ্যাতারের দৃশ্য স্পষ্ট ধরা পড়েছে ওই ভিডিওয়। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে যে, একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত যুবক দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করছে। এই ভিডিও সামনে আসতেই উত্তর-পূর্বে আতঙ্ক ফের বেড়ে গিয়েছে।
ভিডিওতে থাকা ওই লাঞ্ছিত মহিলারা মণিপুরের বিবাদরত সম্প্রদায়েরই একজন। জানা গিয়েছে, নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করাই নয়, এক মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়েছে। নিগৃহিতার ভাই বাধা দিতে গেলে তাকে খুন করা হয়।
এই ঘটনাটি মণিপুরে নতুন করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা এই জঘন্য কাজের নিন্দা করছেন। বিরোধী দলগুলিও এই ঘটনা নিয়ে সংসদে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করেছে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার একদিন পরে, কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা রাজ্যের চুরাচাঁদপুরে একটি বড়সড় বিক্ষোভ মিছিল করে। আন্দোলনকারীরা কালো পোশাক পরে ছিলেন। তারা ওই দুই নারীকে কুচকাওয়াজ ও যৌন নির্যাতনকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এর পরই মণিপুর পুলিশ বৃহস্পতিবার প্রধান অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করে, যে ভিড়ের মধ্যে ওই দুই মহিলার শ্লীলতাহানি করেছিল। অভিযুক্ত, যাকে ২৬-সেকেন্ডের ক্লিপে স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে, তাকে থউবাল জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে থউবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানায় অপহরণ, গণধর্ষণ এবং হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনার নিন্দা করে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন, সমাজে এই ধরনের জঘন্য কাজের কোনও স্থান নেই। তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।