Advertisement

Manipur Violence: মৃত্যু মিছিল-রক্ত-মহিলা মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, কী ঘটছে মণিপুরে?

মণিপুরে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। ১৪ জুন ইম্ফল পশ্চিম জেলায় রাজ্যের মন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এর আগে ১৩ জুন কাংপোকপি জেলায় গভীর রাতে হিংসা শুরু হয়। এতে নয় জনের মৃত্যু হয়।

হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর
Aajtak Bangla
  • ইম্ফল,
  • 15 Jun 2023,
  • अपडेटेड 12:15 PM IST

গত ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হওয়া হিংসা থামার নামই নিচ্ছে না। ১৪ জুন, কিছু দুষ্কৃতী ইম্ফল পশ্চিমের ল্যামফেল এলাকায় রাজ্যের  একমাত্র মহিলা মন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাড়িতে আগুন দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৩ জুন কাংপোকপি জেলায় গভীর রাতে হিংসা শুরু হয়। এতে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত দুষ্কৃতীদের গুলি ও অগ্নিসংযোগে নয়জন নিহত এবং ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেইতি সম্প্রদায়ের লোকেরা কুকি সম্প্রদায়ের গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং পুরো গ্রামে প্রায় ঘণ্টাখানেক গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বহু বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট  রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়  টহল অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় টেংনুপাল এবং ইম্ফল পূর্ব জেলা থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র  এবং ৬৩টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। 

মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং এর মতে, এ পর্যন্ত মোট ১০৪০টি অস্ত্র, ১৩,৬০১টি গোলাবারুদ এবং ২৩০ ধরনের বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, ইম্ফল পূর্বের জেলা প্রশাসনও ১৪ জুন একটি নোটিশ জারি করেছে, যার অনুসারে কারফিউ সময় সকাল ৫ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কারফিউর সময় ছিল ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। 

হিংসা শুরু হয় ৩ মে 
 মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে ৩ মে পার্বত্য জেলাগুলিতে 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এক মাস আগে জাতিগত হিংসার ঘটনার পর থেকে, ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে কুকি গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা  সংঘর্ষের দিকে পরিচালিত করে, পরে যার থেকে অনেক ছোট ছোট আন্দোলন শুরু হয়।

Advertisement

মেইতি সম্প্রদায় জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ 
উল্লেখযোগ্যভাবে, মেইতি  মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। আদিবাসী নাগা ও কুকিদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ, যারা পার্বত্য জেলায় বসবাস করে। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সেনা ও অসম রাইফেলসের প্রায় ১০,০০০ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement