পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের পলিটিক্যাল রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের শামিল করার প্রস্তুতি চলছে। এরই সঙ্গে ইন্টারিম অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধী রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে পার্টির ঘরোয়া লড়াইকে শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের রাজ্য ভিত্তিক অন্তর্কলহের উপরে কোনও রকম মতামত দেননি। আসলে কংগ্রেসে তাকে এ কারণে শামিল করা হয়েছে, যাতে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ জয়ের রাস্তা খোলা রাখা যায়।
গান্ধী পরিবারের বাইরে বিকল্প নেতা খোঁজা হচ্ছে
এর সঙ্গে জড়িত কাজগুলিকে দেখতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী পরিবারের বাইরেও অন্য নেতা তৈরি রাখতে চাইছে।বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সোনিয়া গান্ধীর অ্যাজেন্ডায় রাজস্থানের এক নম্বরে রয়েছে। যেখানে শচীন পাইলটের নিজের আলাদা দাবি রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে রাজস্থানের ভিতর কোনও দল শেষ করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের যোজনা করা হয়েছে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো এটা যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে এআইসিসি সচিবালয়ের সিনিয়র পদের জন্য বলা হবে কী এবং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ৭০ বছর বয়সী গেহলট এটি স্বীকার করবেন কিনা।
আমার ইস্তফা সোনিয়া গান্ধীর কাছে দিল্লিতে
সোনিয়া গান্ধী এবং শচীন পাইলট এর সাক্ষাতের পর রাজস্থানে কিছুটা হইচই শুরু হয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে যে এই বিষয়টি নিয়ে স্বভাবে বিপরীতে গেহলট মিডিয়াকে কিছু এমন কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন যে তাঁর ইস্তফা পত্র স্থায়ী রূপে কংগ্রেসের অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধীর কাছে রয়েছে। যখন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বদলানোর সিদ্ধান্ত নেবে, কেউ টের পাবে না। সিএম বদল এর উপর আলোচনা করা হবে না। কংগ্রেস স্বতন্ত্রভাবে নির্ণয় নিতে পারে।
শচীন পাইলট সোনিয়াকে আশ্বাস দিয়েছেন
মজার ব্যাপার হলো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সামনে নিজের প্রেজেন্টেশনে প্রশান্ত কিশোর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিশেষ স্থান এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যগুলির পর জোর দিয়েছেন। যেখানে কংগ্রেস সরকারের বিপক্ষে রয়েছে। বড় প্রশ্ন হল রাজস্থানে কংগ্রেস অথবা শচীন পাইলট কার নেতৃত্বে এই সংসদ আসন জিততে পারবে তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ভিতরের খবরে জানা গিয়েছে যে রাজস্থানের আইসিসি মহাসচিব অজয় মাকেন একটি বিস্তৃত রিপোর্ট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের জন্য শচীন পাইলট সোনিয়াজিকে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজস্থানে জুন ২০২২ রাজ্যসভার চারটি সিটে নির্বাচন হতে চলেছে। কংগ্রেস এর কাছে ৩টি সিট জেতার ভালো সুযোগ রয়েছে।
যদি মুখ্যমন্ত্রী বদলায় তবে কবে?
কংগ্রেসের ইন্টারিম অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধীর মাথায় এখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বদলানোর ঘটনা চলছে। যেখানে বিধানসভা নির্বাচনে কেবল ১১৪ দিন আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে চরণজিৎ সিং চন্নিকে করা হয়েছিল। এআইসিসি প্রমুখের কাছে যে রাজস্থানে বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রী ক'জন প্রয়োজনীয়তা থাকলে তারা বিধানসভা নির্বাচনে কমসেকম দেড় বছর আগে হওয়া উচিত। জুন ২০২২ এই সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হরিয়ানাতে পার্টি প্রদেশ অধ্যক্ষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। উপস্থিত হরিয়ানা কংগ্রেসের অধ্যক্ষ আগেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন।