Advertisement

পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরা, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু বিক্ষোভকারীর

ব্রু পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা। উত্তর ত্রিপুরা জেলার শরণার্থী শিবিরে থাকা ব্রু শরণার্থীরা ত্রিপুরায় ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি রেশন কার্ডের জন্যেও। এদিকে ব্রু’দের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে চলেছে জেএমসি। নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ এবং মিজো কনভেনশন যৌথভাবে তৈরি করেছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি বা জেএমসি।

Movement against Bru
মনোজ্ঞা লইয়াল
  • কলকাতা,
  • 21 Nov 2020,
  • अपडेटेड 3:59 PM IST
  • ব্রু পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর ত্রিপুরা
  • মিজোরাম থেকে বাস্তুচ্যুত ব্রু’দের পুনর্বাসন
  • এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে জেএমসি

ব্রু পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে  ক্রমেই উত্তপ্ত  হয়ে উঠছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা। উত্তর ত্রিপুরা জেলার শরণার্থী শিবিরে থাকা ব্রু শরণার্থীরা ত্রিপুরায় ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি রেশন কার্ডের জন্যেও। এদিকে ব্রু’দের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে চলেছে জেএমসি। নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ এবং মিজো কনভেনশন যৌথভাবে তৈরি করেছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি বা জেএমসি। এই জেএমসি  ব্রু’দের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে। এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল আন্দোলনকারীরা। সেই সময়ই এক জেএমসি সদস্যের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

উত্তপ্ত উত্তর ত্রিপুরা

এদিন উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর সাব-ডিভিশনে ব্রু পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছিলেন জেএমসি সদস্যরা। আন্দোলনকারীর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারপরেই জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। জেএমসির অভিযোগ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে শ্রীকান্ত দাস নামে তাদের এক সদস্যের। এই ঘটনায় আরও দুই আন্দোলনকারী আহত হন, তাদের অবস্থাও সংকটজনক বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এদিনের ঘটনায় কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ভাঙচুরও চালায় বলে জানা গিয়েছে।  

ব্রু পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর ত্রিপুরা

বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জেএমসি  ব্রু’দের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ধর্মঘট ডেকেছে। গত সোমবার থেকে চলছে এই ধর্মঘট। জেএমসির আহ্বায়ক সুশান্ত বিকাশ বড়ুয়া দাবি করেন  এখন এটি একটি গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এদিকে  ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবেশী মিজোরাম থেকে ৩৩,০০০ বাস্তুচ্যুত ব্রু’দের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত সোমবার সচিবালয়ে ব্রু পুনর্বাসন ইস্যু নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্য সচিব মনোজকুমার বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ব্রু শরণার্থী নেতারা ত্রিপুরার মুখ্যসচিব মনোজ কুমারের কাছে দশ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রু পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে ব্রু-দের তরফে ত্রিপুরা সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। 

Advertisement

ব্রু নেতারা একের পর এক দাবি করেছেন। দাবি অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা, আসাম রাইফেল, সিআরপিএফ, টিএসআর, আইআরবি, এবং ত্রিপুরা পুলিশের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা খাতে ব্রু বাস্তুচ্যুত যুবকদের জন্যে বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, রেশন দোকান, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানীয় জলের ব্যবস্থা, রাস্তা যোগাযোগ এবং অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলি পুনর্বাসনের ক্ষেত্রগুলিতে সরবরাহ করতে হবে বলে দাবি করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে নিজেদের ভিটে-মাটি ছেড়ে উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত রিজার্ভ ফরেস্টে হাজার হাজার রিয়াং আশ্রয় নেন। প্রায় সবা নাগরিক সুবিধা থেকেই তাঁরা বঞ্চিত।

এদিকে কাঞ্চনপুর মহকুমার কয়েকটি জায়গায় ব্রু পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।  সরকারের বিরুদ্ধে চলছে তাদের এই বিক্ষোভ। জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি (জেএমসি) ব্রু পুনর্বাসন ইস্যুতে কাঞ্চনপুরে ১৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ধর্মঘট শুরু করেছে । সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ায় এসডিএম (মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট) চন্দ্রাণী চন্দ্রন অনির্দিষ্টকালের জন্যে উপ-ডিভিশন জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।  এই কারফিউ সত্ত্বেও ধর্মঘটের সমর্থকরা রাস্তায় এসে সড়ক অবরোধ করে এসডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement