কুনো জাতীয় উদ্যানে আরও একটি চিতার মৃত্যু হল। এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশের ওই জাতীয় উদ্যানে মোট ১০টি নামিবিয়ার চিতার প্রাণ গেল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নামিবিয়া থেকে চিতাগুলি ভারতে আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার যে চিতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল, তার নাম শৌর্য। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে জন্ম নেওয়া ৭টি পূর্ণবয়স্ক চিতা এবং ৩টি শাবকের মৃত্যু হয়েছে।
কী কারণে চিতাটির মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক বিবৃতিতে 'চিতা রিলোকেশন' প্রকল্পের ডিরেক্টর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই চিতার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সকাল ১১টায় ওই চিতাটির চালচলনে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। চিতাটি দুর্বল হয়ে পড়ে। পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল চিতাটিকে। সিপিআরে সাড়া দেয়নি চিতা।'
'প্রজেক্ট চিতা' কী?
কেন্দ্রীয় সরকারের চিতা প্রকল্পে নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোট ২০টি চিতা ভারতে আনা হয়েছিল। প্রথম ধাপে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চিতা আনা হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরও চিতা আনা হয়। প্রায় সাত দশক পর দেশে চিতা আসে। কিন্তু সেই চিতাগুলির একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদী সরকার।
গত বছরের অগস্ট মাসে ধাত্রী নামে একটি মহিলা চিতার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল কুনো উদ্যানে। তার চার মাস আগে মার্চ মাসে সাশা নামে নামিবিয়ার একটি চিতার মৃত্যু হয়েছিল। কিডনি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওই চিতার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে উদয় নামে আরও একটি চিতার মৃত্যু হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা আরও একটি চিতার মৃত্যু হয়েছিল। নামিবিয়ার স্ত্রী চিতা ৪টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল ভারতে। সেই শাবকগুলির মধ্যে ৩টির মৃত্যু হয়েছে। মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওরের কারণে গত জুলাই মাসে তেজাস এবং সুরজ নামে আরও ২টি চিতার মৃত্যু হয়েছিল।