বারাণসীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,'আজ আমি এমন দিনে কাশীতে এসেছি যখন চাঁদের শিবশক্তি পয়েন্টে ভারতের চন্দ্রাভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। শিবশক্তির একটি স্থান চাঁদ আর একটি স্থান কাশীতে। কাশীতে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস হয়েছে। এখন দেশের ভাবনা একটাই, যাঁরা খেলবে তাঁরাই ফুটবে।' এ দিন বারাণসীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাসের মঞ্চে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব এবং জয় শাহ-সহ বিশিষ্টরা।
স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,'এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি পূর্বাচলের যুবকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হতে চলেছে। যখন থেকে এই প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামের ছবি প্রকাশিত হয়েছে তখন কাশীর বাসিন্দারা চমকে গিয়েছেন। আজ বিশ্ব ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। বিশ্বের নতুন দেশগুলি ক্রিকেট খেলতে এগিয়ে আসছে। আগামী দিনে ক্রিকেট ম্যাচের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। তাই ম্যাচ বাড়লে নতুন স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে। বেনারসের স্টেডিয়াম সেই চাহিদা পূরণ করবে। স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখানে বসে ম্যাচ দেখতে পারবেন। এখানকার সাংসদ হিসেবে আমি বিসিসিআই-এর সকল কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'কাশীর সাংসদ হওয়ার কারণে এখানে যে পরিবর্তন হয়েছে তা আমিও দেখেছি। এমপি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় এখানে যে উৎসাহ ছিল, তা-ও জেনেছি। বারাণসীর যুবকদের আধুনিক সুযোগসুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই ভাবনা থেকে নতুন স্টেডিয়ামের পাশাপাশি সিগরা স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ভারত আজ খেলাধুলায় যে সাফল্য পাচ্ছে তা দেশের চিন্তাধারার পরিবর্তনের ফল। আমরা খেলাধুলোকে যুবকদের ফিটনেস, কর্মসংস্থান এবং কেরিয়ারের সঙ্গে যুক্ত করেছি।'
.বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে উত্তরপ্রদেশ সরকার খরচ করেছে ১২১ কোটি টাকা। এই জমিতে স্টেডিয়াম নির্মাণ করবে বিসিসিআই। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের আগে স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কানপুর, লখনৌয়ের পর এটা হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৩০ হাজারের কাছাকাছি দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। স্টেডিয়ামের নকশায় থাকছে বারাণসীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ছাপ রয়েছে।