সনাতন ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধী জোটকে আরও একবার আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশে একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করে মোদী বলেন, 'ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে বিরোধীরা। কেউ কেউ একে অহংকারী জোটও বলছেন। মুম্বই বৈঠকে রণনীতি তৈরি করেছে অহংকারী জোট। ওদের একটা গোপন উদ্দেশ্য আছে। ভারতের সংস্কৃতিকে আক্রমণ করাই ওদের নীতি। ভারতীয়দের বিশ্বাসে আঘাত করাই লক্ষ্য।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন,'সনাতন ধর্মকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। সনাতন প্রথার অবসানের কথা বলছে। গান্ধী, লক্ষ্মীবাঈ সনাতন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন। কিন্তু এই অহংকারী জোটের নেতারা সনাতনকে ধ্বংস করতে চায়। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সনাতনকে ধ্বংস করতে চায়। আমাদের জোট বেঁধে এই ধরনের শক্তিকে রুখতে হবে। সংগঠন ও ঐক্যের শক্তি দিয়ে ওদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে হবে। আমার পরিবার ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা দেশপ্রেম, জনশক্তি এবং জনসেবার রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত।'
অতিসম্প্রতি সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়নিধি। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন,'সনাতন ধর্ম সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের পরিপন্থী। কিছু জিনিসের শুধু বিরোধিতা করলেই হয় না, সেগুলি ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার বিরোধিতা করলেই হবে না, শেষ করে দিতে হবে। তেমনই সনাতন ধর্মকেও ধ্বংস করতে হবে।' এই ভাষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা হয়েছে বিরোধী শিবিরেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ওই বক্তব্যের সমর্থন করেননি।
উদয়নিধি বক্তব্য নিয়ে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নেমেছেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। রেয়াত করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি এ দিন বলেন,'দেশ ও সমাজকে বিভাজন করার জন্য কাজ করছে কয়েকটি গোষ্ঠী। ওরা ইন্ডিয়া নামে জোট করেছে। ওদের গোপন উদ্দেশ্য হল, ভারতীয় সংস্কৃতিকে আক্রমণ করা। ওদের একটাই লক্ষ্য, সনাতন সংস্কৃতির ধ্বংস। ওরা এখন খোলাখুলি সনাতন ধর্মকে নিশানা করছে। আগামী দিনে আক্রমণ আরও বাড়বে। দেশজুড়ে সনাতনীরা সচেতন হোন। এই ধরনের লোকেদের আটকাতে হবে।'