Narendra Modi Speaks: আসন কমেছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হাতছাড়া। তবু এনডিএ জোটের নেতা হিসেবে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া পাকা নরেন্দ্র মোদীর সেটা সুনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এনডিএ-র তরফে সরকার গড়া সুনশ্চিত হওয়ার পরই বিজেপির প্রধান কার্যালয় থেকে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন। সেখানে তিনি বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে ও নিরাপত্তা কর্মীদের সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। এরপরই তিনি দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দেন। দুর্নীতি ইস্যুতে কাউকে রেয়াত করা হবে না, সেটা পরিষ্কার করে দেন।
কী বললেন মোদী?
এদিন মোদী বলেন, "২১ শতকের ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর দুর্নীতি সরাতে পারলেই তা সম্ভব হবে। দুর্নীতির উপর আক্রমণ করতে হবে। দুর্নীতি বেড়ে গেলে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা কমে যাবে।" ফলে ইডি-সিবিআই ইস্যুতে যতই সরব হোন না কেন বিরোধীরা, দুর্নীতি ইস্যুতে বিভিন্ন এজেন্সি যে নিজেদের কাজ করে যাবে, তা নিজের প্রথম ভাষণ থেকেই পরিষ্কার করে দেন তিনি। সমস্ত রকম কোরাপশনকে গোড়া থেকে উপরে ফেলতে হবে বলে মোদী জানিয়ে দেন।
রাজনীতি সেবার মনোভাব নিয়ে করা উচিত বলেও সওয়াল করেন তিনি। তিনি বলেন, "বিজেপির জনভাবনা, জনতার ইচ্ছে, আকাঙ্খার প্রতিনিধিত্ব করে। নিষ্ঠা ও সেবা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করব। দেশহিতকে সবার আগে রাখব। তখনই লক্ষ্য হাসিল করতে পারব।" তিনি মনে করিয়ে দেন এই বছর সংবিধানের ৭৫ বছর পুরো হতে চলেছে। তাই থামার সময় নেই।
৬ দশকের পর দেশে নজির গড়ে এনডিএ তৃতীয়বার টানা দেশের সেবা করার অবসর পেয়েছে। যার জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
১৪০ কোটি ভারতের জিত
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ভাল কাজ করছে, ১০০ কোটি ভোটার, ১১ লাখ পোলিং স্টেশন,দেড় কোটি ভোটকর্মী, ৫৫ লাখ ভোট মেশিন, দায়িত্ব পালন করেছে, সুরক্ষা কর্মীরা কর্তব্যের পরিচয় দিয়েছেন, এত সুন্দর ভোটের কোনও দ্বিতীয় কোনও উদাহরণ নেই। তিনি আহ্বান জানান, "দেশবাসীকে, ইনফ্লুয়েন্সার, ওপিনিয়ন মেকারদের বলব ভারতের লোকতন্ত্রে এটা ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জয়। যারা বার্তা দিতে পারেন, লোকতন্ত্রের সামর্থকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তারা অনেক দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। "
জম্মু কাশ্মীরে রেকর্ড ভোট হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। গোটা দুনিয়াকে আয়না দেখিয়ে দিয়েছে। জনতাকে বিজয়ের মুহূর্তে প্রণাম জানাই। গোটা দেশের সমস্ত প্রার্থীদের কুর্নিশ জানাই। বিজেপি, এনডিএর সমস্ত কার্যকর্তাদের ধন্য়বাদ জানাই।
এই জনাদেশের একাধিক দিক রয়েছে। ১৯৬২ সালের পর কোনও সরকার ২ বারের পর তৃতীয়বার ফিরে এসেছে।
যেখানে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভা, অরুণাচল, অন্ধ্র, ওড়িশা কিংবা সিকিম হোক,সব জায়গায় বিজেপির ও এনডিএর জয় হয়েছে, ওই সমবৃস্ত রাজ্যে কংগ্রেসের জামানত বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা ওড়িশা ভাল ফল হয়েছে। প্রথমবার মহাপ্রভু জগন্নাথের মাটিতে বিজেপির মুখ্য়মন্ত্রী হবে। যা নিয়ে নিজের খুশি লুকিয়ে রাখেননি তিনি। ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, রাজ্যে বিজেপি পার্টি ক্লিন সুইপ করেছে। এই সমস্ত রাজ্যে ওড়িশা, অরুণাচল, অন্ধ্র আর সিকিমের জনতার কাছে কৃতজ্ঞ। উন্নয়নের কোনও ত্রুটি রাখবে না বিজেপি বলে ঘোষণা করেন তিনি। বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশেও ভাল ফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।