প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ সামলাচ্ছেন তিনি। এর আগে আমাদের দেশে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একমাত্র জওহরলাল নেহরু। অর্থাৎ সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ইতিহাস গড়লেন মোদী ৷
নরেন্দ্র মোদী ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বারাণসী থেকে জিতে তিনি সাংসদ হন। সেবারই তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এরপর ২০১৯ সালেও তিনি জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালে যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০ আসন পেয়েছে তারা। এনডিএ-র শরিক দল অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি এবং বিহারের জেডি(ইউ)-র সমর্থনে সরকার গড়ছে এনডিএ।
২০১৪ সালে বিজেপির ঝুলিতে ছিল ২৮২ আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ আসন৷ দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালে সেই ঝড় অব্যাহত ছিল দেশে৷ বিজেপি ৩০৩ আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷ তবে এবার কংগ্রেসের কাছে রয়েছে ৯৯ আসন৷
নরেন্দ্র মোদী ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর গুজরাতের মহেসানা জেলার বড়নগরে গুজরাটি হিন্দু মুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতামাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। পিতার নাম দামোদারদাস মূলচাঁদ মোদী ও মায়ের নাম হীরাবেন মোদী।
নরেন্দ্র মোদী ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই সেপ্টেম্বর গুজরাতের মহেসানা জেলার বড়নগরে গুজরাটি হিন্দু মুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতামাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। পিতার নাম দামোদারদাস মূলচাঁদ মোদী ও মায়ের নাম হীরাবেন মোদী।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। নাগপুরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরী অবস্থার সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তখনও RSS-এর হয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন মোদী। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করায়। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাত শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এই পদে তার ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে জেতে।
এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ প্রমুখ।