সরকারি পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার পরের দিনই নিজের আপ্ত সহায়ককে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। দীর্ঘদিন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ছিলেন ভিকে পান্ডিয়াঁ। সময়ের আগেই ইস্তফা দেন এই আইএএস অফিসার। তারপরই পরিকাঠামো সংক্রান্ত একটি প্রকল্প ফাইভটি এবং 'নবীন ওডিশা' কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, পূর্ণমন্ত্রী মর্যাদা দেওয়া হয়েছে পান্ডিয়াঁকে। তিনি সরাসরি ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করবেন।
গত সোমবারই পান্ডিয়াঁর স্বেচ্ছাবসরের আবেদন মঞ্জুর করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০০০ সালের ব্যাচের ওডিশার ক্যাডার আইএএস অফিসার পান্ডিয়াঁ মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন তাঁর আপ্তসহায়কের দায়িত্ব সামলেছেন। স্বাভাবিকভাবে জল্পনা শুরু হয়েছিল, সম্ভবত রাজনীতিতে আসতে চলেছেন পান্ডিয়াঁ। সেটা অনেকাংশেই সত্যি হল।
মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পান্ডিয়াঁকে নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।বিরোধীদের অভিযোগ, নবীন পট্টনায়েকের হয়ে সব সিদ্ধান্তই নেন এই আইএএস অফিসার। বকলমে তিনিই প্রশাসন চালাচ্ছেন। অতিসম্প্রতি সরকারি হেলিকপ্টারে একাধিক জেলায় গিয়েছিলেন পান্ডিয়াঁ। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, পান্ডিয়াঁ সরকারি চাকরির বিধি লঙ্ঘন করছেন। তাঁর স্বেচ্ছাবসরের পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন,'যা আগে আড়ালে আবডালে ছিল, সেটাই এবার প্রকাশ্যে দেখা যাবে।' তিনি যোগ করেন,'ওডিশা একটা আস্ত বিস্ময় হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, জমিদার অনুপস্থিত, তাঁর ডান হাত রাজ্যের সিইও হয়ে বসেছেন।'
ওডিশার রাজনীতির অন্দরে খোঁজ করলেই জানা যাবে, সরকারি একাধিক পরিকল্পনা যেমন- মো সরকার, শ্রী মন্দির পরিক্রমা ও বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ যোজনার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পান্ডিয়াঁ। সরকারি হাসপাতাল, স্কুল ও রাজ্যের প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থানগুলির সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজেও জড়িত ছিলেন এই আইএএস অফিসার।