ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET UG-নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জয় ছাত্রছাত্রীদের। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট -এ একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান পাওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়। পরীক্ষার ফলাফলে অনিময়মের অভিযোগ ওঠে। পরে জানা যায়, বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট NTA-কে গ্রেস মার্ক বা বাড়তি নম্বর বাতিল করে আবার NEET পরীক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ১৫৬৩ জনযে যে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হবে। সেই সব শিক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। ২৩ জুন ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৩০ জুনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট NEET-এর কাউন্সেলিং নিষিদ্ধ করার পক্ষে নির্দেশ দেয়নি।
আদালত আবেদনকারীদের জানায়, আবেদনকারীদের আবেদন NTA মেনে নিয়েছে। গ্রেস মার্ক বা বাড়তি নম্বরও বাতিল করা হচ্ছে। বরং সেই সব পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ছাত্ররা পুনরায় পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে পারে বা তাদের পুরোনো স্কোর নিয়ে কাউন্সেলিং-এ অংশ নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের স্কোরকার্ড থেকে গ্রেস মার্কস মুছে ফেলা হবে। যে সব প্রার্থীরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা, ভালো ফল করবে, তারা ফের পরীক্ষা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, NTA ৫ মে দেশজুড়ে NEET নেয়। ফলাফ প্রকাশিত করে ৪ জুন। তবে ফলাফল সামনে আসার পর দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ, ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৭ জন ৭২০ নম্বর পায়। আবার ১৫৬৩ জনকে গ্রেস মার্কিং দেওয়া হয়। এই গ্রেস মার্কিং ছিল ১০০ থেকে ১৫০ নম্বর। অভিযোগ, সেই কারণে মেধার বাইরে থাকা অনেক ছেলেমেয়ে মেরিটলিস্টে জায়গা পেয়ে যায়। অন্যদিকে মেধাবী ছেলেমেয়েদের সরকারি কলেজে ভর্তি হতেও অসুবিধা হয়।
এদিক গ্রেস মার্ক কেন দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নে NTA-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বহু ছাত্র-ছাত্রী। আবেদনকারীদের দাবি, গ্রেস নম্বর দিয়ে পরীক্ষায় কারচুপি করা হয়েছে। তখন NTA তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানায়, সময় নষ্ট হওয়ার কারণে ১৫৬৩ জনকে গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছে।