NEET UG-তে যে গাফিলতি হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই। তাই নতুন করে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। মঙ্গলবার এমন নির্দেশই দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নতুন করে নিট নেওয়ার দরকার নেই।
চলতি বছর ৫ মে হওয়া ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট নিয়ে উঠেছে নানা বেনিয়মের অভিযোগ। ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) এবং আইআইটি মাদ্রাজ যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বিরাট আকারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন অভিযোগের সারবত্তা মেলেনি। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে এমন কোনও তথ্য নেই যা প্রমাণ করে পরীক্ষার পবিত্রতা লঙ্ঘন হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, ফের পরীক্ষা নেওয়া হলে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতার উপর চূড়ান্ত প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া ফের পরীক্ষা হলে ভর্তির সময়, মেডিক্যাল শিক্ষাব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া সংরক্ষিত আসনে প্রান্তিক পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। এমনকি ভবিষ্যতে যোগ্য ডাক্তার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা তৈরি হতে পারে। তবে আদালত মেনে নিয়েছে বেনিয়ম হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ,সিবিআই তদন্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া নিতে হবে।
কেন ফের পরীক্ষার দাবি উঠেছিল?
গত ৪ জুন NEET-এর ফল ঘোষণার পরই পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, গরমিল হয়েছে পরীক্ষায়। বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র প্রকাশ্যে আসে। একাধিক গ্রেফতারিও করে সিবিআই। পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, ৬৭ জন শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। এর মধ্যে অনেকে আবার একই পরীক্ষা কেন্দ্রের। পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ওঠে। পড়ুয়াদের আর্জিতে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার এল চূড়ান্ত ফয়সলা।