আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ১৮ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন। এর প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে নির্বাচিত সাংসদরা শপথ নেবেন (Oath Taking Of Member Of Parliament)। তারপরই তাঁরা সংসদের আনুষ্ঠানিক সদস্য হবেন। অনেকে এমন আছেন যাঁরা প্রথমবারের মতো সাংসদ হিসেবে শপথ নেবেন।
সংসদ সদস্য হওয়া মাত্রই তাঁরা একাধিক সুযোগ সুবিধে পাবেন। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ যে সব সুবিধে পান না সেগুলো মিলবে সংসদ সদস্যদের।
১৮ তম লোকসভায় সংসদে পৌঁছানো বেশিরভাগ সাংসদই প্রথমবার সাংসদ। এবছর যাঁরা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫২ শতাংশ প্রথমবারের মতো এমপি হিসাবে শপথ নেবেন। সংখ্যাটা ২৮০। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশেরই ৪৫ এমন রয়েছেন যাঁরা প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়েছেন। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখান থেকেও ৩৩ জন প্রথমবার জন সংসদ সদস্য প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংসদরা কী কী সুবিধে পাবেন? সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর সদস্যদের সাধারণত বেতন, যাতায়াত সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা, বাসস্থান, টেলিফোন, পেনশনসহ অনেক ভাতা দেওয়া হয়। ১১ মে, ২০২২-এর বেতন ও ভাতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। একজন সাংসদ মাসে ১ লক্ষ টাকা বেতন পান। এছাড়াও বাড়িতে বৈঠক করলে সেই বাব প্রতিদিনের হিসেবে ২ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন সাংসদরা।
সাংসদদের সংসদে অধিবেশনে যোগ দেওয়া, কমিটির বৈঠক ইত্যাদিতে যোগদানের জন্য ভ্রমণ সুবিধা দেওয়া হয়। এর জন্য সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে আসা-যাওয়ার টাকা দেওয়া হয়। কোনও সংসদ সদস্য ১৫ দিনের কম অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকলে তিনি ভ্রমণের টাকা পান। এ ছাড়া এমপিরা রেলওয়ের প্রথম শ্রেণির কোচে ভ্রমণের জন্য বিনামূল্যে যাতায়াত করতে পারেন। পরিবারের সদস্যরাও পান সেই সব সুবিধে।
একইভাবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপ এবং লাক্ষাদ্বীপের সাংসদদের স্টিমার সুবিধা দেওয়া হয়। প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাঁর অফিস খরচের টাকাও পান। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রত্যেক এমপিকে ২০ হাজার টাকা, স্টেশনারির জন্য ৪ হাজার টাকা, চিঠির জন্য ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই সময়ে, টোল ছাড়ের জন্য, প্রত্যেক সাংসদকে দুটি ফাস্ট্যাগ দেওয়া হয়, একটি দিল্লিতে গাড়ির জন্য এবং একটি তার এলাকার গাড়ির জন্য। এর মাধ্যমে তারা টোল ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও, সাংসদরা অনেক জায়গায় অ্যাক্সেস বা প্রোটোকল পান যেখান থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে রাখা হয়।
সব মিলিয়ে হিসেবটা এরকম, একজন সাংসদ মাসে বেতন পান ১ লাখ টাকা, নির্বাচনী ভাতা হিসাবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা, অফিস খরচ এবং দৈনিক ভাতা হিসাবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও যাতায়াত ভাতা, বাড়ি ও চিকিৎসা সুবিধা আলাদাভাবে পাওয়া যায়। সিনিয়র সাংসদরা ভালো বাড়ি পান।
পেনশন সংক্রান্ত নিয়ম কী কী? একজন সাংসদ যত দিনই এমপি থাকেন না কেন, তিনি প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা পেনশন এবং প্রতি অধিবেশনে কিছু সুবিধা পান। দ্বিতীয় অধিবেশনেও তিনি এমপি থেকে গেলে পরবর্তী অধিবেশনেও পেনশন পান।