নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মাত্র ৫ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অথচ অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনেক বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, তিনি কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার তা নিয়ে সরব হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার ফের মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
নির্মলা সীতারামনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে এসেছিলেন সেকথা ঠিক। এবং তাঁর আসা প্রশংসনীয়। তবে তিনি যা বলছেন তা মিথ্যে। নির্মলা বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন, সেটা খুব ভালো কথা। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি নাকি সব বিরোধী দলের হয়ে কথা বলেছেন। এটা একদম ঠিক নয়। খুব দু:খের বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেন, তাঁর কথা শোনা হয় না। তাঁকে ব্রাত্য় করে রাখা হয়। কিন্তু তা তো ঠিক অভিযোগ নয়। তিনি তো কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন।'
নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ান। কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেন। তা নিয়েও কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করেন নির্মলা। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'জয়রাম আপনি তো সেই বৈঠকে ছিলেনও না। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুনেছি। বরাদ্দ সময়ের পুরোটা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমাদের প্রত্যেকের টেবিলের সামনে একটা ঘড়ি ছিল। তার সময় মোতাবেক কথা বলা হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের বেশিক্ষণ বক্তব্য রাখেন। কয়েকজন অনুরোধও করেন সময়সীমা বাড়ানোর। তা রাখা হয়। কোনও ঝামেলা হয়নি। কারও জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও নয়। মিথ্যে কথা ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' নির্মলার আরও দাবি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া ব্লককে খুশি করতে অনেক কথা বলছেন।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করার অভিযোগের জবাবে নীতি আয়োগও বিবৃতি দেয় শনিবার। তাদের তরফে জানানো হয়, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মধ্যাহ্নভোজের আগে সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেই সময় তিনি (মমতা) তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন। সভায় সবাইকে ৭ মিনিট সময় দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাত্র। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আগেই শুনেছি এবং নোট করেছি। মমতা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর মুখ্যসচিব রুমে অপেক্ষা করছিলেন।'