বাজেট নিয়ে বিরোধীদের বিরোধিতার আবহে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৃহস্পতিবার আজতককে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বাজেটের সুফল নিয়ে আলোকপাত করেছেন অর্থমন্ত্রী। বলেছেন, 'এটি মধ্যবিত্তের জন্য উপকারী বাজেট।'আয়করের হার, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কমিয়ে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সীতারামন।
মধ্যবিত্তের স্বস্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি ঋণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন সীতারামন। পাশাপাশি বলেছেন যে, মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ পড়াশোনা বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে সুরাহা করা হয়েছে। মধ্যবিত্তরা যাতে সাধ্যের মধ্যে বাড়ি কিনতে পারেন, সে কারণে ঋণে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সীতারামন বলেছেন, 'আমরা সব সময় কর কমানোর চেষ্টা করে আসছি। আমরা ভেবেছিলাম পুরনো কর ব্যবস্থায় কর কমানো ঠিক হয়নি। এই কারণেই আমরা একটি নতুন কর কাঠামো করেছি।'
এদিন অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, 'শেয়ারবাজারে কারসাজি করার কোনও অভিপ্রায় নেই সরকারের। শেয়ারবাজারের জন্য লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স (এলটিসিজি) ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।' অর্থমন্ত্রী জানান, আগে দীর্ঘমেয়াদি সম্পত্তি কর ২০ শতাংশ ধার্য ছিল, যা এখন কমিয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটকে 'কুর্সি বাঁচানোর বাজেট' বলে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির। বাজেটে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিহারে নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সমর্থনে তৃতীয়বার সরকার গড়তে হয়েছে মোদী বাহিনীকে। বিরোধীদের অভিযোগ, শরিকদের মন রাখতেই ওই দুই রাজ্যে বিশেষ বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাজেটকে 'কাট অ্যান্ড পেস্ট' বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সীতারামন বলেছেন, ' ভোট অন অ্যাকাউন্টের (অন্তবর্তীকালীন বাজেট) সময় আমাদের বাজেটে ইতিমধ্যে অনেক কাজ করা হয়েছে। সেই ভোট অন অ্যাকাউন্টের বিষয়গুলিও এই বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ এটি ছিল এই অর্থবছরের প্রথম চার মাসের বাজেট এবং এটি বাকি 8 মাসের বাজেট। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই বাজেটই আগামী ৫ বছরের দিশা দেখাবে, যা অমৃতকালের পাঁচ বছর।'