ইন্ডিয়া জোটে ফাটল! কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন,'পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট গঠন করা হয়েছিল। সেই জোটের কোনও কাজকর্ম হচ্ছে না। জোট নিয়ে তৎপরতা নিয়ে নেই কংগ্রেসের। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই তারা ব্যস্ত।' কেন্দ্রের মোদী সরকারকেও নিশানা করেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়,'কোনও গঠনমূলক কাজ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টে দেশের ইতিহাস পাল্টানোর চেষ্টা করছে।'
কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়, 'আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। সকলের এক মঞ্চে আসা দরকার। আমরা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস রাখি। সিপিআইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।'
আসলে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেই বিরোধীদের এক করার চেষ্টা শুরু করেছিলেন নীতিশ কুমার। বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করতেও সফল হয়েছিলেন নীতীশ। এর পর জুন মাসে পটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছিলেন। কংগ্রেস, টিএমসি, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, বাম-সহ ১৫টি দলের নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন।
এই বৈঠকের পর বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেন বিরোধী দলের নেতারা। ওই বৈঠকে ২০টির বেশি দলের নেতানেত্রীরা অংশ নেন। তবে বৈঠকের নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেস। এমনকি রাহুল গান্ধীও হঠাৎ কোনও আলোচনা ছাড়াই জোটের নাম 'INDIA' স্থির করেন। সমর্থন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নীতীশ কুমার এই নামের পক্ষে ছিলেন না। শুধু তাই নয়, বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগেই পটনয় ফিরে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে নীতীশ কুমারের অসন্তোষের খবর। শোনা যায়, কংগ্রেস যেভাবে বিরোধীদের সভা হাইজ্যাক করেছে তাতে ক্ষুব্ধ নীতীশ।
তবে মুম্বইয়ে তৃতীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। আসন বাটোঁয়ারা নিয়ে ওই বৈঠকে কোনও কথা হয়নি। পটনা, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে বৈঠকের পর 'ইন্ডিয়া' জোট গঠিত হয়। তবে আসন বণ্টন, কে হবেন আহ্বায়ক, বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে জোটের কৌশল কী হবে- এসব সিদ্ধান্ত হয়নি। অতিসম্প্রতি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আসন বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের পরে এনিয়ে ফের আলোচনা শুরু হবে।